পার্থ প্রতিম ঘোষ, কলকাতা: ফের সরকারি হাসপাতালে (WB Government Hospital) সক্রিয় দালাল চক্র। বিভিন্ন হাসপাতালে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার অভিযান শুরু। পুলিশি অভিযানে মেডিক্যাল কলেজে পাকড়াও ২ অ্যাম্বুল্যান্স চালক। এসএসকেএম থেকে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সক্রিয় দালাল চক্র: শহরের একাধিক সরকারি হাসপাতালে দলাল চক্রের অভিযোগ। বুধবার দুই হাসপাতালে অভিযান চালাল কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। মেডিক্যাল কলেজ থেকে ধৃত ২ দালাল। দুজনেই পেশায় অ্যাম্বুল্যান্স চালক বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোগী ভর্তি হোক বা রোগীর সঙ্গে আত্মীদের সাক্ষাৎ, সবকিছুর জন্যই টাকা দিতে হত ধৃত দালালদের। মেডিক্যাল কলেজের পরে এসএসকেএম হাসপাতাল অভিযান চালায় গুন্ডা দমন শাখা। দাদালির অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়।
কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক সরব হয়েছিলেন সরকারি হাসপাতালের দালাল চক্র নিয়ে। এরপরই সক্রিয় হয় লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা। এসএসকেএম, এনআরএস-সহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে অভিযানে চালানো হয়। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে। ধৃতদের নাম গৌতম সরকার ও বিলাস সিংহ। একজন নদিয়ার বাসিন্দা, অন্য জন নারকেলডাঙার। অভিযুক্তরা দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুমূর্ষু রোগীদের ভর্তি করার নামে টাকা নিত। এক পরিবারের তরফে অভিযোগ ওঠে, বহরমপুর থেকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। তাদের থেকে ১৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়। তাঁরা দিতে পারবে না বললে এনআরআসে যেতে বলা হয়। সেখানেও ভর্তি বাবদ ২ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তারপর ভর্তি করা হয় রোগীকে। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে সাগর দত্ত হাসপাতালে দালালরাজ নিয়ে সরব হয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি অভিযোগ করেন, সাগর দত্ত হাসপাতালে আইসিসিইউ-র জন্য ৬০০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। ওই একই হাসপাতালে রক্তের জন্য ১৭০০ টাকা দর বলেও অভিযোগ। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, রমেন হালদার নামে এক রোগীকে ভর্তি করার জন্য ওই টাকা দাবি করে দালালরা। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধও জানান তৃণমূল বিধায়ক।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Hawker Eviction: সিউড়িতে জবরদখল উচ্ছেদ, এবার যৌথ অভিযানে পুলিশ ও পুরসভা