সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা : কবে মিলবে চাকরি, এই প্রশ্ন নিয়ে হয়েছিলেন জড়ো। কিন্তু তাঁদের টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ (Police)। বিক্ষোভ দেখানোর মাঝে পুলিশ তাঁদের কার্যত ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে প্রিজন ভ্যানে (Prisan Van) তুলে দেওয়ার পথে কাতর স্বরে চাকরিপ্রার্থীদের (Job Aspirants) প্রশ্ন 'আমরা কি চোর? কেন এরকম আচরণ আমাদের সঙ্গে।' সল্টলেকে আচার্য ভবনের সামনে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। যেখানেই বাঁধে ধুন্ধুমার। 


কীভাবে সূত্রপাত


হঠাৎই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শুরু করে ব্যাপক ধরপাকড়। যারপরই দেখা যায় পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাঁচছেন তাঁরা। যদিও অনেকেই সেই সুযোগ পাননি। পুলিশ বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের টেনে হিঁচড়ে ধরে তোলে প্রিজন ভ্যানে। যারপর একাধিক গাড়িতে তুলে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ থেকে পুলিশের হাতে ধরা পড়া, সবসময় ছিল একটাই দাবি, 'আমাদের বয়স শেষ হয়ে গেছে। নিয়োগ চাই।' অনেক বিক্ষোভকারীই পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ করেন। পাশাপাশি কয়েকজন মহিলা বিক্ষোভকারীদের বলতে শোনা যায়, 'রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, তিনি কি দেখতে পাচ্ছেন না, পুলিশ কী করছে।'


কেমন এমন ঘটনা


আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল এদিন। সেক্টর ফাইভের দিক থেকে এগিয়ে করুণাময়ীিতে জড়ো হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের সেখান থেকে মিছিল করে যাওয়ার কথা ছিল বিকাশ ভবনের দিকে। যে মিছিল আচার্য ভবনের সামনে পৌঁছতেই রাস্তা আটকায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের জানিয়ে দেওয়া হয়, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি, তাই বিক্ষোভ দেখাতে পারবেন না তাঁরা। 


যদিও চাকরির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভের মাঝে আচার্য ভবনের সামনে রাস্তাতেই বসে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের নিরস্ত্র করার চেষ্টা করার পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে শুরু হয় মাইকে প্রচার। যদিও নিজেদের বিক্ষোভে অনড় ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। যার পরই পুলিশের তরফে শুরু হয় ব্যাপক ধরপাকড়। কার্যত টেনে হিঁচড়ে চাকরিপ্রার্থীদের প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ধরপাকড় চলার সময় অনেক বিক্ষোভকারী ছুটে পালাতে চেষ্টা করেন পুলিশের হাত থেকে। অনেকে আবার রাস্তাতেই শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাত থাকেন। চাকরির দাবি জানানোর পাশাপাশি কেন তাঁদের সঙ্গে এহেন আচরণ সেই নিয়েই প্রশ্ন তোলেন চাকরিপ্রার্থীরা।


চাকরিপ্রার্থীদের যেভাবে সরানো হল তা দেখে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে রাতের অন্ধকারে পুলিশের চাকরিপ্রার্থীদের টেনে হিঁচড়ে তুলে দেওয়া। 


আরও পড়ুন- কী তথ্য লুকিয়ে রয়েছে ? ইডি-র নজরে এবার কুন্তল ঘোষের তিনটি পেনড্রাইভ