সৌমিত্র রায়, কলকাতা: গড়ফায় দিনেদুপুরে ডাকাতি। হাত-পা বেঁধে গৃহিণীকে শৌচাগারে বন্ধ করে রেখে লুঠপাট। নগদ ৩০ হাজার টাকা ও গয়না হাতিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের, অভিযোগ গৃহিণীর। ভরদুপুরে গড়ফার মণ্ডলপাড়ায় নির্মাণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা। মুখে রুমাল বেঁধে, টুপি পরে আসে দুষ্কৃতীরা, দাবি গৃহিণীর। 


গড়ফায় দিনেদুপুরে ডাকাতি: গড়ফার মণ্ডল পাড়ার বাসিন্দা নির্মাণ ব্যবসায়ী সমর কর্মকার। এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ডাকাতি হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার সময় সমর কর্মকার বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে একাই ছিলেন সমরের স্ত্রী শিবানী কর্মকার। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের মুখে রুমাল চাপা দেওয়া ছিল। মাথায় ছিল টুপিও। কলিং বেলের আওয়াজ পেয়ে দরজা খোলেন শিবানী। পুলিশ সূত্রে খবর, দরজা খুলতেই ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে। ছুরি নিয়ে ভয় দেখায় অভিযুক্ত। হাত-পা মুখ বেঁধে শৌচাগারে নিয়ে যাওয়া হয় গৃহিণীকে। গলার সোনার চেন এবং হাতে সোনার আংটি খুলে নেয়। পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা এবং সমর কর্মকারের চারটে সোনার আংটি নিয়ে চম্পট দেয়।


এদিকে ৫ হাজার টাকা ক্যাশব্যাকের (Cashback) ফাঁদে পড়ে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা খোয়ালেন জোড়াবাগানের এক বাসিন্দা। জোড়াবাগান থানার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের নর্থ ডিভিশনের সাইবার শাখাতে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, খোয়া যাওয়া টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল সোনার কয়েন। কিন্তু, কীভাবে দেড়লক্ষ টাকার বেশি গায়েব হল জোড়াবাগানের বাসিন্দার অ্য়াকাউন্ট থেকে? পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে এক নামকরা প্রাইভেট ব্যাঙ্কে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেন জোড়াবাগানের এক বাসিন্দা। ৫ এপ্রিল হাতে পেয়েও যান ক্রেডিট কার্ড।  ৩দিন পর, ৮ এপ্রিল সন্ধেয় একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে তাঁর কাছে। নিজেকে সেই ব্যাঙ্কের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাঁকে জানান, ব্যাঙ্কের তরফ থেকে ৫ হাজার টাকার ‘ক্যাশব্যাক অফার’ দেওয়া হচ্ছে।


ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করার সময় ক্যাশব্যাক সম্পর্কে জানায় সন্দেহ হয়নি জোড়াবাগানের বাসিন্দার। এরপরই, তাঁকে পাসওয়ার্ড ও লিঙ্ক-সহ একটি ইমেল পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, জোড়াবাগানের বাসিন্দা লিঙ্কে ক্লিক করে ক্রেডিট কার্ড ডিটেল দিয়ে ক্যাশব্যাকের আবেদন করেন। সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে একটি OTP আসে। ওটিপি দিতেই, SMS আসে অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়। প্রথমে জোড়াবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে অভিযোগ জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের নর্থ ডিভিশনের সাইবার শাখায়।


আরও পড়ুন: WHO on Covid-19: কোভিড আর 'বিপদ' নয়? বড়সড় ঘোষণা WHO-এর