কলকাতা: শনিবার ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari),  সিএএ ইস্যুতে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তেই বিস্ফোরক বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি। শমীক লাহিড়ি (Samik Lahiri) বলেন, 'বিজেপি, এনআরসি, সিএএ, এইসব করে মানুষের মধ্যে বিভেদ করতে চাইছে।'


প্রসঙ্গত, এদিন শুভেন্দু বলেন,  , 'সিএএ বহু চর্চিত বিষয়, সিএএ-র দাবি বারে বারেই করেছি। যেমন কথা তেমন কাজ, সিএএ পাস হয়েছে। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা আইনে নেই। আগামী দিনে এরাজ্যে সিএএ চালু হবে। দম থাকলে সিএএ আটকে দেখান। সিএএ বিরোধিতার নামে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে ও হেনস্থা করা হচ্ছে। সিএএ কার্যকর হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে ডবল ইঞ্জিন সরকার চালু হবে।’ পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিএএ নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। বিজেপির ডাকে সিএএ নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে ঠাকুরনগরে যান শুভেন্দু। ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে পুজো দেন বিরোধী দলনেতা। এরপরেই বামনেতা শমীক লাহিড়ি বলেন, 'বিজেপি, এনআরসি, সিএএ, এইসব করে মানুষের মধ্যে বিভেদ করতে চাইছে। এটা ভারতবর্ষ কখনও মানেনি, কোনওদিন মানবে না। এর আগে চেষ্টা করেছেন, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, উনি তো কী.. ওনার কথার কোনও মূল্য নেই, কালকে আবার কোন পার্টি করবেন ঠিক নেই। ওরা চেষ্টা করে পারেনি।'


আরও পড়ুন, ‘সরকারের সুবিধে নিলে সরকারকেও দেখতে হবে’, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বিনিময়ে ভোটের হুঁশিয়ারি


প্রসঙ্গত, শুক্রবার সংবিধান দিবস পালনের আবহেও বিধানসভায় দাঁড়িয়েই শাসকদলের সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। অথচ সেদিনই আবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে শুভেন্দু। গতকাল বিধানসভায় সংবিধান দিবস ( Constitution Day )উপলক্ষে অনুষ্ঠানে শাসক দলকে নিশানা করেন শুভেন্দুৃ। ‘সংবিধানে লেখা, ফর দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল’। আমাদের এখানে চলে, ফর দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি’।২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস।  নির্ধারিত দিনের আগেই শুক্রবার বিশেষ এই দিন পালিত হয় বিধানসভায় ( West Bengal Assembly )। আর এখান থেকেই ফের একবার শাসকদলকে বাক্যবাণে বিঁধলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার বিধানসভায় দাঁড়িয়েই  শুভেন্দু বলেন, ‘ভোটের সময় আমরা আমাদের রাজনীতি করব। কিন্তু বাকি সময় সংবিধান অনুযায়ী চলব। বিধানসভা থেকে এটাই শপথ নেওয়া উচিত’। ফের একবার তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘প্রশাসনিক সভায় বিরোধীদের ডাকা হয় না। যথা সময় পুরসভা নির্বাচন হয় না, প্রশাসক বসিয়ে চলছে। '