কলকাতা: গাড়ির ধাক্কায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) ছাত্রের মৃত্যুর ( Student  Death Case)ঘটনায় ইতিমধ্যেই চরমে রাজনৈতিক চাপান উতোর।  ইতিমধ্যেই বিক্ষোভে নেমেছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। শুভেন্দু-সুজন-সহ বিরোধী প্রায় প্রত্যেকেই শাসকদলের দিকে আঙুল তুলেছেন। এহেন মুহূর্তে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। 


 এদিন শান্তনু সেন বলেন, 'যেকোনও মৃত্যুই অত্যন্ত দুঃখ্যের। এবং যে ঘটনাটি ঘটেছে, নিশ্চিত করে মর্মান্তিক ঘটনা। পুলিশ নিশ্চিত তদন্ত সম্পূর্ণ করে প্রকৃত সত্য সামনে আনবে। কিন্তু সেই নিয়ে যারা বিবৃতি দিলেন, আমরা তাঁদেরকে একটু স্মরণ করিয়ে দিই। প্রথমেই রাজ্যে বিরোধী দলনেতাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, কেন্দ্রীয় সরকারের মাননীয় মন্ত্রীর ছেলে, আনন্দোলনরত কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে দিয়ে চলে গিয়েছিল। তাঁকে উত্তর প্রদেশের নির্বাচনের আগে কীভাবে জামিনে বার করে আনা হয়েছিল, তাও দেখেছি। এখনও তিনি কেন্দ্রের মন্ত্রিসভায় বহাল ওআছেন, সেটাও দেখেছি। আর সুজনবাবুকে একটু মনে করিয়ে দিই বিজন সেতুর ঘটনা। সুতরাং আয়নায় নিজেদের মুখটা দেখে, তারপর সমালোচনা করা উচিত। একটা ঘটনা ঘটেছে, এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকার, এখানে নিরপেক্ষ তদন্ত হয়। প্রশাসন তদন্তকরে দোষীদের চিহ্নিত করবে।'


আরও পড়ুন, 'আসানসোলকাণ্ডে গ্রেফতার হয়, এক্ষেত্রে ছাড়', ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কেন বললেন শুভেন্দু ?


প্রসঙ্গত, এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মৃত্যু নিশ্চিতভাবে দুঃখজনক। এবং আসানসোলে যদি ভিড়ে কিছু হয়, তার জন্য বিজেপির নেতাদেরকে তলব করা হয়, গ্রেফতার করা হয়। আর সাংসদের গাড়ি মারলে তখন দেখা হয় না। এক্ষেত্রেও তাই। তোলামূল মানেই ছাড়.. একটু পরেই এসে যাবে একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি , যে বিষয়টা নিছক দুর্ঘটনাই ছিল।' তবে গাড়ির ধাক্কায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পরে তাঁকে এই গাড়িটা দেওয়া হয়েছিল, গাড়িটিকে সার্ভিস সেন্টারে দিয়ে আসার জন্য। এদিকে ঘাতক গাড়িটিকে গাড়িটি পুলিশকর্মীরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা গাড়িটিকে আরও খতিয়ে দেখবেন। এই মুহূর্তে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে রাখা হয়েছে। 


পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, কোনও প্রভাবশালীকে আড়াল করার চেষ্টা করছে পুলিশ। দুর্ঘটনা ঘটার পর সারা সকালে কেন কেউ গ্রেফতার হয়নি। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সকাল থেকেই রাস্তায় নামেন পড়ুয়ারা। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সামলাতে কার্যত হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। বারবার পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত বাক্য বিনিময়ও দেখা গিয়েছে। এদিনই পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'বিক্ষোভ অবাস্তব। ঘটনা দুঃখজনক। যে করেছে, তাঁকে গ্রেফতার করবে। সিসিটিভি খারাপ ছিল। টাকা থাকলে তাঁকে প্রভাবশালী বলে, এরকম একটা বলেছে। দোষী হলে গ্রেফতার করা হবে।'