কলকাতা: নিয়োগে দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্য়ুতে কবিগানে প্রতিবাদ, ধর্মতলায় চাকরি প্রার্থীদের ধর্না। মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে এসএসসি-র (SSC) গ্রুপ সি ও ডি-র চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না। ৬১ দিনে পা দিল চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না। গানে গানে প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের।
রাজ্যে এসএসসির পাশাপাশি প্রতিবাদে সামিল সিএসসি চাকরি প্রার্থীরা। গত ১৫ তারিখ নিয়োগের দাবিতে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির নীচে হাজির হয় ২০১৮-র কলেজ সার্ভিস কমিশনের (CSC) মেধা তালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা। ভরা পুজোর মাঝে যখন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড়, রাস্তাঘাটে আলোর রোশনাই, তখন ভিন্ন দৃশ্য শহরের একপ্রান্তে। উৎসবের চিহ্নটুকুও নেই, আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের মনে। কারোর চোখে জল, কারোর আবার কথা বলতে গিয়ে গলা বুজে আসছে। ঝাপসা হচ্ছে চোখ, পরিবারের কথা বলতে গিয়ে ধরে রাখতে পারছেন না চোখের জল। বঞ্চনার অভিযোগে উৎসবের দিনেও রাস্তায় অবস্থান করছেন তাঁরা। ঘর-বাড়ি ভুলে নিয়োগের দাবিতে সরব তাঁরা।
রোদ-ঝড়-জল-বৃষ্টি মাথায় নেই কেটেছিল এতগুলি দিন। আশা ছিল অন্তত পুজোর আগে নিয়োগ হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন আভাস নেই বলেই দাবি চাকরিপ্রার্থীদের। 'উৎসবের শহরে আর আশ্বাস নয়, দ্রুত নিয়োগ চাই'- এই প্ল্যাকার্ড হাতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তি ঘিরে চার চারটি অবস্থান চলছে। চাকরির দাবিতে গাঁধী মূর্তির নিচে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা। এছাড়াও ওই একই অঞ্চলে অবস্থান করছেন. ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের একাংশ। আর এবার সেই পথেই নিয়োগের দাবিতে এবার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির নীচে হাজির ২০১৮-র কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুন, 'মনটা গরীব, কিছু লোকের কাছে টাকা আছে, দিদি জানতেন না', বিস্ফোরক দিলীপ
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন,'মুখ্যমন্ত্রী ২০২০ সালে বলেছিলেন প্রাইমারি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সবার নিয়োগ হবে। ২০১৪ সালে আমার টেট পাশ করেছি। দুবার ইন্টারভিউ দিয়েছি, আমরা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা বঞ্চিত। বাংলার আকাশে বাতাসে পুজো। কিন্তু হতাশার অন্ধকারে নিমজ্জিত আমরা। কোনও আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না।' দেবীপক্ষেও আন্দোলনরত ছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা মায়েদের গলায় আক্ষেপের সুর। এক চাকরিপ্রার্থী বলছেন, 'আমরা সন্তানটাও এবার পুজো আমাকে ছাড়াই কাটাবে। মাঝেমধ্যেই বলে, বলেছিলে চাকরি পেলে ভাল জামা কিনে দেবে, কবে দেবে কিনে', আরেক চাকরিরপ্রার্থীর কথায়, 'সন্তানকে বাধ্য হয়ে বাড়িতে রেখে দিয়ে আসতে হচ্ছে। এটা খুবই যন্ত্রণার। বাড়িতে ঠিক করে খায় কিনা জানি।'