কলকাতা: বকেয়া DA-র দাবিতে শহিদ মিনারে চলছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের (State Govt Worker Protest) ধর্না-অবস্থান (Agitation)। এরই মধ্যে, আজ সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ৩৩টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ।


হাসপাতালের এমার্জেন্সি পরিষেবা ছাড়া, সমস্ত কর্মী, পুরসভা-পঞ্চায়েতের কর্মী, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্য়ালয়ের শিক্ষাকর্মীদের কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্য়ালয়ে না যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্য় সরকারি কর্মচারীদের সই করে, কাজ না করার আর্জি জানানো হয়েছে। এর জেরে সরকারি পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


অধিকার বুঝে নিতে পথে। আন্দোলনের কারণ ভিন্ন হলেও দাবি, সকলেই বঞ্চিত। কারও দাবি নিয়োগের। কেউ পথে বসে আছেন বকেয়া DA-র দাবিতে।  বকেয়া DA এবং স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে সরকারি কর্মীদের সংগঠন, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনে সহমর্মিতা জানাতে আসেন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। 


  আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা বলেছেন, 'এখানে যারা আছে সবাই বঞ্চিত। বঞ্চিতদের দল হয় না। সবাই একটাই।' দু'পক্ষেরই দাবি, বঞ্চনাই তাঁদের পথ এক করেছে। পাশাপাশি, আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, এবার থেকে প্রতিদিন তাঁদের কয়েকজন প্রতিনিধি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চেের সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি জরুরি পরিষেবা বজায় রেখে ফের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন সরকারি কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ৩৩টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ।বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির টানাপোড়েন চলছে বহু দিন ধরে। হাইকোর্ট হয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। নিয়োগের দাবি ঘিরেও তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে, যৌথভাবে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন, 'বিচারপতি ঠিক জায়গায় হাত দিয়েছেন', চাকরি বাতিলের ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিলীপের


সম্প্রতি আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বসে পড়লেন আশা কর্মীরা। নিয়োগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএর দাবিতে রাজপথে চলছে আন্দোলন। মঙ্গলবার, সরকারি স্বাস্থ্য কর্মীর স্বীকৃতি-সহ ১২ দফা দাবিতে পথে নামেন আশা কর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের ডাকে স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল।দিলীপ ঘোষ বলেন, 'তৃণমূল দেউলিয়া। কাজ নেই। টাকা নেই। চাকরি নেই। ওরা বিভ্রান্ত। কিছু একটা করে মিডিয়া ফোকাসে থাকা। এখানে রোজ খুন হয়। এফ আই আর পর্যন্ত হয়না। তারা দাবি করুক তদন্ত। তার বদলে মন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও? এটা ওদের পতনের ইঙ্গিত।'