আবির দত্ত, কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল সুবীরেশ ভট্টাচার্য-র। শান্তিপ্রসাদ সিন্হার সঙ্গে পুরোটাই জানতেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান। অ্যারেস্ট মেমোতে উল্লেখ সিবিআইয়ের (CBI)। সূত্রের খবর, অ্যারেস্ট মেমোতে এটাও বলা হয়েছে, যাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে তাঁরা অনেকেই অযোগ্য ছিলেন।সূত্রের খবর, আজ আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হবে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। এসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে সিবিআই (CBI)। 


 গতকাল গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কারণ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় , শান্তিপ্রসাদ, অশোক সাহা। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের গ্রেফতার। স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। প্রসঙ্গত,গত মাসেই শিলিগুড়িতে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতেও যায় সিবিআই।  এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য বাড়িতে অভিযান চালায় ১০ জনের সিবিআই প্রতিনিধি দল। সেসময় প্রকাশ্যে আসে, বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম ছিল এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যানের।


অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের রিপোর্টে বলা হয় যে, এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ করা উচিত। বাগ কমিটির রিপোর্টে আরও বলা হয় যে, কমিশনের প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্য জানিয়েছেন, 'কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তিনি যেনও আঞ্চলিক কমিশনের চেয়ারম্যানদের সই সংগ্রহ করে স্ক্যান করেন। এবং সেই স্ক্যান করা সই কমিশনের অ্যাপ্লিকেশন সার্ভারে সংরক্ষণ করেন, যাতে পরবর্তীকালে সেই সইগুলো গ্রুপ-ডি পদের সুপারিশপত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।'


আরও পড়ুন, সুবীরেশ গ্রেফতার হতেই 'নথি' পোড়ানোর অভিযোগ, ভিডিও শেয়ার সুকান্ত-র 


নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে তিন অভিযুক্ত-পার্থ, কল্যাণময়, এস পি সিন্হা।  সিবিআই সূত্রের খবর, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি কারা নিয়ন্ত্রণ করত, তাতে পার্থর কী ভূমিকা ছিল, তা বিশদে জানতে চাওয়া হবে পার্থর কাছে, আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও পার্থর দাবি, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। কমিটি গঠনের ফাইলে সই করেছিলেন মাত্র। কিন্তু গোয়েন্দাদের প্রশ্ন, তিনি না জানলে, কারা জানত। এই সব প্রশ্ন উঠছেই। সূত্রের খবর,  টাকার লেনদেন ও প্রভাবশালী যোগের সন্ধান পেতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে আলাদা আলাদা ভাবে জেরা করা হয়। সিবিআইয়ের দাবি, পার্থ তথ্য গোপন করছেন। দুর্নীতির দায় এড়িয়েছেন কল্যাণময়ও। সিবিআই সূত্রে দাবি, পার্থ নিয়োগ দুর্নীতি-যোগ অস্বীকার করলেও, তথ্যপ্রমাণ বলছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সরাসরি যোগ রয়েছে।