কলকাতা: সৌগত-র হুমকি ইস্যু প্রকাশ্যে আসতেই ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এদিন সৌগত রায় (Sougata Roy) বলেন, ' আপনারা এই ভূল করবেন না। তৃণমূলের বিরুদ্ধে চোর ধরো, জেলে ভরো এই স্লোগানের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। তিনি বলেন, তৃণমূলে ৯৮ শতাংশ সৎ।  ২ শতাংশ  যদি দুর্নীতিগ্রস্থ হয়, আমরা তাঁদের বার করে দেব। সিপিএম, বিজেপি যদি আমাদের চোর বলে উত্যক্ত করে, তাহলে কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না, আমরা রুখে দাঁড়ালে ওদের এলাকাছাড়া হতে হবে। ' দুর্নীতি-বিতর্কে ফের বিরোধীদের হুমকি দিলেন সৌগত রায়। এই ইস্যুতে এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী।


সুজন চক্রবর্তী এদিন বলেন, 'যত দিন যাচ্ছে ততই সৌগত রায়ের মুখে হুমকি, ও দুষ্কৃতির সুর শোনা যাচ্ছে। এলাকায় থাকতে পারবেন না পর্যন্ত বলে দিলেন। ওনার এই ধরনের মন্তব্য বন্ধ করা উচিত। আবার নিজেই বলছেন ৯৮ শতাংশ সৎ, ২ শতাংশ চোর। আর তারপরেই সেই নামের তালিকা প্রকাশ করার কথা জানালেন সুজন চক্রবর্তী। অযথা বাড়তি কথা বলা অভ্যাষ হয়ে যাচ্ছে সৌগতবাবুর, সেটা ভালো লাগে না।'  প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কামারহাটিতে হুমকি দিয়ে সৌগত রায় বলেন,‘তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে। তৃণমূলের সব চোর বলে মিছিল করলে পার্টি অফিসে ঢুকে যেতে হবে।'নাম না করে সৌগত রায়কেও সেসময় হুঁশিয়ারি দেন রাজ্য বিজেপির সম্পাদক সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, 'তৃণমূল নেতারা বলছেন বিজেপি কর্মীদের চামড়া দিয়ে জুতো বানাবেন। তাঁদের বলে রাখি, পায়ের মাপ আমরাও নিতে জানি। পায়ের মাপের সঙ্গে হাতের মাপও নেওয়া হবে। বিজেপির ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভেবে নেবেন না।’'চোর ধরো, জেলে ভরো', দুর্নীতির বিরুদ্ধে সম্প্রতি রাজ্য জুড়ে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে রাজপথে নামেন দিলীপ-সুকান্তরা।এনিয়েও সৌগত রায় প্রতিবাদ জানিয়ে হুমকি দেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা।  


আরও পড়ুন, পার্থ ও অনুব্রত-কে নিয়ে পুজোর থিম ! 'ভাবতেও ভয় লাগে', আশঙ্কা মদনের


যদিও  এদিন শমীক বলেছেন, 'দেখুন এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জনরোষ এতটাই প্রবল, যে নিম্ন মধ্যপিত্ত পরিবারের একজন গৃহবধূ একজন দ্রোর্দণ্ডপ্রতাপ মন্ত্রীর (Partha Chatterjee) দিকে জুতো ছুঁড়ছে। এখন মানুষই এদের দিকে তাঁকিয়ে বলছে, চোরের মায়ের বড় গলা। আমি এই বিতর্কে যাচ্ছি না। সৌগত বাবু, একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তাঁর মেধা নিয়ে কারও কোনও প্রশ্ন নেই। তিনি তার রাজনৈতিকজীবনে যতবার দল পরিবর্তন করেছেন, অবস্থান পরিবর্তন করেছেন, গত ৭ দিনে তিনি প্রায় ততবারই নিজের বক্তব্যের আঙ্গিক পরিবর্তন করেদিলেন।' এরপরেই তিনি সৌগত-র হুমকি ইস্যুতে বলেন, আমরা যেটা মনে করেছি, তৃণমূল কংগ্রেস কখনই কোনও রাজনৈতিক দল নয়। কারণ এই রাজনৈতিক দল কোনও প্রতিবাদ নিতে পারে না। কোনও বক্তব্য কেউ রাখলে, 'এড়িয়ে গিয়ে চুপ করে থাকতে পারে না।' 'তৃণমূলের এই রাজনীতি'-কে মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে বলেই প্রতিক্রিয়া বিজেপি নেতার।