কলকাতা: মুরলীধর সেন লেনের পর এবার দিল্লিতে (Delhi) শাহি সাক্ষাতে সুকান্ত-শুভেন্দু ( Amit Shah, Sukanta Adhikari and Suvendu Adhikari Meeting)। 'মঙ্গলবার দিল্লিতে অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে সুকান্ত-শুভেন্দুর বৈঠক', সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘরে বৈঠক, জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।  


প্রসঙ্গত, এইমুহূর্তে কলকাতায় অমিত শাহ। পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের শেষে এদিন একান্তে নবান্নে অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে একান্ত বৈঠক হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। নবান্নের ১৪ তলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী(CM)। মধ্যাহ্নভোজের পরেই ১৪ তলায় মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে পৌঁছে যান অমিত শাহ। বৈঠকে যোগ দিতে মূল গেটে না গিয়ে নবান্নর (Nabanna) ভিভিআইপি গেটে ঢোকে শাহর কনভয়। অমিত শাহকে স্বাগত জানান মমতা, একসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছন নবান্ন সভাঘরে। তারপর ২০ মিনিট কথা হয় দুজনের।  পর্যবেক্ষকদের ধারণা আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে থাকতে পারে বাংলায় এজেন্সি অতি সক্রিয়তা। ইদানীং বাংলায় অতি সক্রিয় ইডি সিবিআই। হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডলপার্থ চট্টোপাধ্যায়। ক্রমাগত এজেন্সির তৎপরতা নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণও করে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


কেন্দ্রর বিরুদ্ধে রাজ্যের অভিযোগ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্র রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না। অর্থনৈতিক ভাবে বাংলাকে পর্যুদস্ত করছে কেন্দ্র। এই নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত চলছেই। বিভিন্ন সময়ে তৃণমূল নেতাদের আক্রমণের নিশানায় থেকেছেন শাহ। এই পরিস্থিতিতে দুজনের সাক্ষাৎ রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এক দেশ এক পুলিশ নীতি নিয়েও কথা বয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।  অন্যদিকে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনের আবহে নবান্নে পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক সম্পন্ন হল নবান্নে। অমিত শাহ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজনৈতিক ময়দানে একে অপরকে যতই কটাক্ষ করুন না কেন। শনিবাসরীয় সভা শুরু হল হাসি বিনিময়ের মাধ্যমেই। সকাল ১১ থেকে শুরু হয় বৈঠক। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যায়, কিন্তু বৈঠক শেষ হতেই চায় না। সুদীর্ঘ কথোপকথনের পর দুপুর দেড়টা নাগাদ শেষ হয় আলোচনা।


 আরও পড়ুন, 'পুরনো প্রেম', শাহ-মমতা বৈঠক ইস্যুতে মন্তব্য বিকাশের


জানা গিয়েছে, মমতা ও অমিত সাক্ষাতে নজর ছিল সীমান্ত সমস্যার দিকে। জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হল, বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের কার্যকলাপ নিয়ে। এছাড়া আলোচনায় উঠে আসে সীমান্ত দিয়ে পাচার সমস্যার বিষয়টিও। বিশেষত গত কয়েক মাস ধরে সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা চলছিলই।এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়ে থাকতে পারে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।