কলকাতা: ঘড়ির কাটায় রাত বারোটা ক্রস করে গিয়েছে। কাউন্ট ডাউন শুরু বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhiyan)। যদিও এই নবান্ন অভিযান ঘিরে জেলায় জেলায় কম জল ঘোলা হয়নি। স্লোগান করে আসার মুখে ট্রেন ধরার আগেই একাধিক বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আর নবান্ন অভিযানের আগে শেষ মুহূর্তে এবার মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 


 এএনআই সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আমাদের তিন নেতা হাওড়া, কলেজস্কোয়ার এবং সাঁতরাগাছি থেকে নবান্ন চলো অভবিযান পরিচালনা করবেন। তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের সমাবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। আমাদের, কারও কাছ থেকে, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতির প্রয়োজন নেই।'  বিজেপি সূত্রে খবর, প্রথম জমায়েত হবে কলেজ স্কোয়ারে। সেখান থেকে মহাত্মা গাঁধী রোড ধরে মিছিল পৌঁছবে হাওড়া ময়দানে। যার নেতৃত্বে থাকবেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হাওড়া ময়দানে আসা দ্বিতীয় মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তারপর দুপুর ১ টায় ওই ২টি মিছিল  হাওড়া ময়দান থেকে নবান্ন-র দিকে যাবে। 






প্রসঙ্গত, সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, নিউ কোচবিহার এবং বালুরঘাট স্টেশন, এবং দক্ষিণবঙ্গের আসানসোল, ঝাড়গ্রাম, দিঘা, পুরুলিয়া স্টেশন থেকে কর্মী-সমর্থকদের আনতে ৭টি ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ৭টি ট্রেন ভাড়া নিতে খরচ হবে ৭০ লক্ষ টাকা। ট্রেন ছাড়াও প্রতি জেলা থেকে অন্তত ৫টি করে বাসে কর্মী-সমর্থকদের আনতে বলা হয়েছে। এদিকে, গত কয়েক দিনের মতো রবিবারও নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি সভা করে বিজেপি। নন্দীগ্রাম ও পাণ্ডুয়ায় মিছিলে নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁর নেতৃত্বে মিছিল হয়।


অপরদিকে এদিন সকাল থেকেই জেলায় জেলায় বিভিন্ন বড় স্টেশনগুলি থেকে বিজেপি কর্মীরা ট্রেন ধরবার জন্য লাইন দেয়। আসার পথে স্লোগান তুলে মিছিল করে আসা বলে জানা যায়। অভিযোগ সেই সময়ই তাঁদেরকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলা হয়।  বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন, তাঁকে আটক করা হয়। এবং বেশি কিছু বিজেপি কর্মীকে আটক করা হয়। আর এবার এহেন ইস্যুতেই নবান্ন অভিযানের ঠিক আগের রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া দিদেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।


আরও পড়ুন, ৭ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ, ইডি দফতর থেকে বেরোলেন অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা


এদিন দিলীপ ঘোষ ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ উগরে বলেন,'আমরা ট্রেন ভাড়া করে রীতিমত ট্রেনের টাকা দিয়ে আসছি। অথচ যখন নিত্যযাত্রীদের জোর করে ট্রেন থেকে নামিয়ে দিয়ে, ট্রেন দখল করে তৃণমূলের কর্মীরা মিছিলে যান, তখন কোথায় থাকে পুলিশ ? এত ভয় বিজেপিকে ? আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিবাদকে এভাবে কণ্ঠরোধ করতে চাইলে আমরাও তার প্রতিবাদ করবো।'