কলকাতা:  মোমিনপুরকাণ্ডে (Mominpore) ঘটনাস্থলে যেতে চাওয়ায় গ্রেফতার হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরপরেই সুকান্তের গ্রেফতারির প্রতিবাদে লালবাজারের সামনে প্রতিবাদে নামেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মোমিনপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে চিঠি দেন শুভেন্দু অধিকারী। অমিত শা-র কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি দেন বিরোধী দলনেতা। চিঠিতে একবালপুর থানায় তাণ্ডবের অভিযোগ করা হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে, বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। এরপর এদিন সিইএসসি ভবনে একের পর এক প্রশ্ন তোলেন, সিইএসসি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু।


মোমিনপুরে কেন ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ?  সিইএসসি আধিকারিকদের কাছে জানতে চান শুভেন্দুূ অধিকারী।   এদিন তিনি বলেন, দাবি নং ১, অবিলম্বে ডিপ্লয়মেন্ট অব সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সেস। যেটা রাজ্যকে চাইতে হবে। নইলে কোর্টকে অর্ডার করতে হবে। রাজ্যপাল মহোদয় অ্যাডভাইস করুক রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। দাবি নং ২, ইমিডিয়েট ড্যামেজ অ্য়াসেসমেন্ট করে ১০০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ, স্টেট গভঃমেন্টকে দিতে হবে। দাবি নং ৩, ভিডিও ফুটেজ দেখে যারা আপনার থানা দখল করল, যারা এইভাবে তাণ্ডব চালালো কাল সারাদিন ধরে, মধ্যরাত্রি বারোটা-১ টা অবধি, তাঁদেরকে গ্রেফতার করতে হবে।


প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। মোমিনপুরের ময়ূরভঞ্জ রোডে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে বোতল ছোড়াছুড়ি-ইটবৃষ্টি হয়। অভিযোগ করা হয় বোমাবাজিও। শনিবার রাতের পর, রবিবার সন্ধেয় ফের উত্তেজনা ছড়ায় একবালপুর থানা এলাকায়। এরপরই, একবালপুর থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের দুই ডিসি-সহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন করা রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামানো হয়েছে র‍্যাফ। এদিন চিংড়িঘাটা মোড়ে আটকানো হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। ডিসি ইস্ট গৌরব লালের সঙ্গে কথা হয়  সুকান্ত মজুমদারের। শেষে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও তাঁর দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। এই পরিস্থিতিতে, এদিন রাজভবনেও দরবার করে বিজেপি।


 আরও পড়ুন, 'মধ্যপ্রদেশের অ্যাকশন রিপ্লে পশ্চিমবঙ্গে', মোমিনপুরকাণ্ডে বিস্ফোরক সজল-সেলিম


এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'গত ২ দিন ধরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে মাত্র ৩ কিমি দূরে খিদিরপুর সংলগ্ন এলাকায় দুষ্কৃতি দ্বারা তাণ্ডব চলছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।  এরাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায়  , মহিলাদের সুরক্ষা কোথায় মাননীয়া ? আপনার অপদার্থ পুলিশ বিজেপিকে না আটকে,  যদি আজ একবালপুরে দুষ্কৃতিদের গ্রেফতার করত, আজ এই দিন দেখতে হতো না। ব্যর্থ পুলিশ মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনার ইস্তফা দেওয়া উচিত।'