কলকাতা: সাবিত্রী মিত্র ইস্যুতে বিস্ফোরক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন সাবিত্রী (Sabitri Mitra) প্রসঙ্গ তুলে, তিনি বলেন, 'অগ্নিমিত্রা পাল-সহ একাধিক বিধায়ক, সাবিত্রী মিত্রর বিরুদ্ধে থানাতে অভিযোগ করার জন্য গিয়েছেন। কিন্তু তিনি এরপরেই বলেন, যদিও আমরা জানি, জেনারেল ডাইরি করে রেখে দেওয়া হবে। এটা এফআইআর হবে না।' কিন্তু কেন ? এরপরেই গত এক বছরের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে নুপুর শর্মা (Nupur Sharma) এবং মহুয়া মিত্র (Nahua Mitra) প্রসঙ্গ টেনে আনলেন তিনি।


শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, 'মানিকচকের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়িকার, গুজরাটের মানুষদেরকে বিট্রিশের অস্ত্র সরবারহকারী বলা, সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে কুৎসিত আক্রমণ করার প্রতিবাদ বিধানসবার ভিতরে ও বাইরে হয়েছে। চিরাচরিৎ অভ্যাষ অনুযায়ী, বিধানসভার অভ্যন্তরে, আমাদেরকে অধিকারের সুযোগ অনুযায়ী বলতে দেওয়া না হলেও, অভিযুক্তা বিধায়িকাকে সাফাই দেওয়ার সুযোগ, শাসক দল করে দিয়েছেন।  এটা আপনার সবাই দেখেছেন। আমাদের অগ্নিমিত্রা পাল-সহ একাধিক বিধায়ক, সাবিত্রী মিত্রর বিরুদ্ধে থানাতে অভিযোগ করার জন্য গিয়েছেন তাঁরা। যদিও আমরা জানি, এটা জেনারেল ডাইরি করে রেখে দেওয়া হবে। এফআইআর হবে না। এই অভিজ্ঞতা গত ১ বছর ধরেই আছে।' মূলত, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে নুপুর শর্মা এবং মহুয়া মিত্র, দুজনেই বিতর্কিত হন। একজন বিজেপি নেত্রী এবং অপরজন তৃণমূল নেত্রী। আর এদিন এই প্রসঙ্গ তুলেও আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'যেমন নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর হয়। তাঁকে বারেবারে ডেকে পাঠানো হয়। এরপরেই শুভেন্দু, মহুয়া মিত্রের ইস্যু তোলেন। মা কালীকে অপমান অর্থাৎ ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের ইস্যু তুলে বলেন, শাসকদলের প্রতিনিধি বলে, মহুয়া মিত্রের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর হয়নি হবেও না।'


আরও পড়ুন, 'মানিক' মামলার শুনানিতে সিবিআই-র আইনজীবীকে থাকতে হবে, সতর্ক করলেন বিচারপতি


প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)-অমিত শাহ (Amit Shah)-কে দুর্যোধন, দুঃশাসন বলে কটাক্ষ মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) সাবিত্রী মিত্রর। মালদার রতুয়ায় সাবিত্রী মিত্র (Sabitri Mitra) বলেছেন, ‘মমতা দিদিকে যদি আপনি শূর্পনখা বলেন, তাহলে আমি বলব অমিত শাহজিকে, আমি বলব মোদিজিকে, আমি বলব আরও বিজেপির যাঁরা নেতা আছেন পশ্চিমবাংলায়, আপনারা হচ্ছেন দুর্যোধন-দুঃশাসন। খালি স্ত্রীর বস্ত্র হরণ করা ছাড়া আপনাদের কোনও কাজ নেই।’। ক’দিন আগেই অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভোট ভাগাভাগির চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছিলেন। আর এবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দুর্যোধন, দুঃশাসন, বলে নিশানা করলেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তনমন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। দিনকয়েক আগে, মালদায় এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, 'শ্রীলঙ্কায় একটা রাজা ছিল, সে রাজা খুব অত্যাচারী। পয়সা ওড়াত যেমন দিদি ওড়ায়। যদি রাবণের দেশ শ্রীলঙ্কা হতে পারে। তাহলে শূর্পনখার রাজত্বেও আপনারা যদি চান তাহলে পুলিশ কিছু করতে পারবে না।'