কলকাতাঃ তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের (21 July) প্রস্তুতি নিয়ে তোপ শুভেন্দু অধিকারীর। শাসকদলকে নিশানা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, '২১ জুলাই সব চোর কলকাতায় আসছে'।
আরও পড়ুন, কয়লাপাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিট, কাদের নাম রয়েছে সেখানে?
২১ জুলাই সব চোর কলকাতায় আসছে: শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'খাওয়ার-দাওয়ার আয়োজন তো বিডিওরা করছে। স্বাস্থ্য দফতর, ডিএম, বিডিও-রা সার্কুলার দিয়েছে, প্রত্যেকটা রেল স্টেশনে, বাস স্ট্যান্ডে মেডিক্যাল ক্যাম্প এবং ফুড প্যাকেট রাখতে। মমতাই পুলিশ, মমতাই প্রশাসন।এটাকে একবারে সরকারি প্রোগামে পরিণত করেছে। তবে এটাও বলব পশ্চিমবঙ্গের লোককে, দিনের বেলা আপনারা গ্রাম গঞ্জে গরু বেঁধে রাখেন, জামা-কাপড় ছাদে শুকোতে দেন বা ঘরের ভিতর শুকান। ওই দিন সব চোর কলকাতায় আসছে। আপনি গরু ছেড়ে রাখতে পারেন এবং জামাকাপড় বাইরে শুকোতে দিতে পারেন, সন্ধ্যাবেলা তুলতে পারেন। কেউ হাত দেবে না।'
ওর তাল পুরোদস্তুর কেটে গিয়েছে: কুণাল ঘোষ
এদিকে এনিয়ে পাল্টা তোপ দাগেন কুণাল ঘোষ। বলেন, 'অবান্তর কুৎসার একটা সীমা থাকা উচিত। শালীনতা বোধের একটা সীমা থাকা উচিত। এই দিন তেরো জন শহিদ, শতাধিক জখম। শুভেন্দু এই দলটায় এতদিন ছিলেন। এই সমাবেশে দীর্ঘদিন তিনি থেকেছেন, কখনও সাংসদ হিসেবে, কখনওবা মন্ত্রী হিসেবে। এটা কী ধরনের কথা ! আসলে মানসিকভাবে ভারসাম্য হারিয়েছেন। সারাবাংলা থেকে যেভাবে কর্মীরা আসছেন, সাধারণ মানুষ আসছেন, তাতে ওর তাল পুরোদস্তুর কেটে গিয়েছে। সেই কারণে এই ধরনের কথা বলছেন। ওই দলে থাকাকালীন শেষ সভাতেও উনি অংশ নিয়েছিলেন। উনি তো বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন সবে। সুতরাং এইভাবে শহিদ তর্পণের দিনকে এই কুৎসিতভাবে বলছেন। নিজেই একটা চোর, তোলাবাজ, ব্ল্যাকমেলার, সিবিআইয়ে-এফআইআর নেমড নারদায়। সিবিআই থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছে বলে পাল্টা নিশানা করেন কুণাল ঘোষ। এরপর তিনি আরও বলেন, সারদার আরও সমস্যা উঠে আসছে। শ্মশানের জমি কাঁথিতে কারা চুরি করেছে ? ল্যাম্পপোস্টের টাকা চুরি, কোনও কিছু বাদ দেয়নি। আস্ত একটা চোর, ব্ল্যাকমেলার, সে এই কুৎসা শহিদ দিবস নিয়ে কী কারণে করছে ?