কলকাতা: রাজ্যে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) 'অনুসন্ধানে' এসেছে কেন্দ্রীয় দল। সেনিয়ে এবার ট্য়ুইটে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মনে হচ্ছে সত্য অনুসন্ধানে, তাঁদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে, যারা সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। রাঁধুনিদেরও এতে সামিল করা হয়েছে। তাদের বেতন ও ইনসেন্টিভ সময়ের আগেই দেওয়া হচ্ছে। এটা পশ্চিমবঙ্গ। যদি পড়ুয়াদেরও হুমকি দেওয়া হয়, অবাক হব না। মিড ডে মিলের অনুসন্ধানে কেন্দ্রীয় দলকে কয়েকটি বাছাই করা স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য় সরকারি আধিকারিকরা, অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। হাতেনাতে ধরতে আগাম খবর না দিয়ে যে কোনও স্কুলে যাওয়া উচিত। ট্যুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী। 






এদিকে, এদিনই কেন্দ্রীয় দলের অনুসন্ধানে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। ৭ জন মিড ডে মিলের কর্মীকে ভাগ করে দেওয়া হয় ৫জনের বেতন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রসকুঞ্জ প্রাণকৃষ্ণ হাইস্কুলে গিয়ে এমনই তথ্য় পেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। প্রায় ১০-১২ বছর ধরে এভাবেই কম বেতন নিয়ে কাজ করে আসছেন কর্মীরা। মিড ডে মিলের রান্নাঘর পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। প্রধান শিক্ষকের অফিসে গিয়ে কথা বলেন তাঁরা। এদিকে রাজ্যে মিড মিলের খতিয়ান দেখার দিনেই  চন্দ্রকোণায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিলের খিচুড়িতে মিলেছে আরশোলা। এমনই অভিযোগ ধামকুড়িয়ার এক বাসিন্দার। বাড়িতে গিয়ে টিফিন বক্সে নেওয়া মিড ডে মিলের খিচুড়িতে আরশোলা পড়ে থাকার অভিযোগ। খবর দেওয়া হয় ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে, বাকি শিশুদের খাবার খেতে নিষেধ। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন চন্দ্রকোণা ২ নং ব্লকের জয়েন্ট বিডিও।


আরও পড়ুন, 'রাজ্যের টাকা তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র', ফের মমতার নিশানায় মোদি সরকার


অপরদিকে,' বগটুই হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে রাজ্য সরকার যে আর্থিক সাহায্য দিয়েছে, সেই টাকা কেন্দ্রের দেওয়া মিড-ডে মিলের ফান্ড (Midday Meal Fund) থেকে দেওয়া হয়েছে।' সম্প্রতি  এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে ফেসবুক পোষ্ট করেছিলেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা (Dhruba Saha) ।  ফেসবুক পোস্টে দুটি চেকের ছবি দিয়ে তিনি এই অভিযোগ তোলেন। এনিয়ে তদন্তেরও দাবি করেন ধ্রুব সাহা। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। পাল্টা, বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বগটুইকাণ্ডে এক বছর হতে চলল, ইস্যু না পেয়ে সেই ঘটনা নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাজার গরম করার চেষ্টা করে কোনও লাভ হবে না।পাশাপাশি, তারপরে পরেই, 'নিহতদের পরিবারকে মিড-ডে মিলের ফান্ড থেকে আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী', ট্যুইটে করে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারীও। ছবি তোলার জন্য সাহায্যের নামে স্কুল শিশুদের খাদ্য ও পুষ্টির জন্য কেন্দ্র সরকারের তহবিলের অপব্যবহার করেছন। এটা আর্থিক অপরাধ। ট্যুইটে নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা।