কলকাতা: সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর ( Sujan Chakraborty) বাড়িতে 'দিদির দূত' লাভলি মৈত্র! ( TMC Leader Lovely Moitra) দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যের বাড়িতে তৃণমূল বিধায়ক। বাড়িতে নেই সুজন, ফোনে কথা সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে লাভলিকে বাড়িতে এসে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ সুজনের, গ্রহণ তৃণমূল বিধায়কের। সুজন বাড়িতে না থাকলেও, সিপিএম নেতার পরিবারের সঙ্গে কথা তৃণমূল বিধায়কের।  


বাঙালির ঘরে ঘরে থেকে রাজনীতির দরবারে চায়ের মাহাত্ম বরাবরই। আগে গোল টেবিল বৈঠক থেকে শুরু করে হালে গেরুয়া শিবিরের 'চা চক্র' নামকরণে রাজনীতি, এখন  অনেকটাই স্ন্য়াক্সের মতো নেতা-নেত্রীদের কাছে। তাই সেখানে মুচমুচ মন্তব্যও উঠে আসে ভুরিভুরি ! সেখান থেকেই বড়বড় ঘোষণা থেকে শুরু করে প্রতিক্রিয়া , কটাক্ষ সবই উঠে আসে। তাই সেটা দিলীপ ঘোষের চা চক্রে তিক্ততাই হোক, কিংবা রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর চায়ের আমন্ত্রণে এসে বিমান বসুর আবেগ প্রবণ হয়ে পড়ার মুহূর্তই হোক , সবেতেই চায়ের জুড়ি মেলা ভার। তবে ৮ থেকে ৮০ বললে ভূুল হবে, বলা যায় বাঙালির আঠারোয়ানা জুড়েই চা। আর রাজনীতির বাইশ গজে এবার সেই চাকে সঙ্গী করেই বর্ষীয়ান বামনেতার আমন্ত্রণ তৃণমূল বিধায়ককে।


বছরটা ২১ সাল। চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্যে এই চা চক্র থেকে একসময় রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষ। উদয়ন গুহ ও দিলীপের উষ্ণ বাক্যবাণও এই চা চক্র থেকেই উসকে গিয়েছিল একটা সময়। দিনাহাটায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘যে আমার গলায় পা দিয়ে দাঁড়াতে চায়, তার হাঁটু ভাঙার অধিকার আছে। আমার সহকর্মীর বুকে পা তুলতে চাইলে, হাঁটু ভাঙার অধিকার আছে।  যদি আমরা সেটা না করতে পারি, তাহলে বুঝতে হবে, বিজেপির সঙ্গে আমাদের একটা তলে তলে লাইন আছে। সেই জন্য সবাইকে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।' মূলত গতকাল তৃণমূলের তরফে স্লোগান ওঠে চোর চোর চোরটা, দিলীপ ঘোষ চোরটা।


আরও পড়ুন, রাজ্যে বেবিফুডের আকাল, হাসপাতালে সদ্যোজাতদের নিয়ে বাবা-মায়ের ভিড়


তখনই দিলীপ ঘোষ বলেন,  তোদের বুকে পা দেব রে। তোদের বুকে পা দেব। এরপরেই ফের হাত তুলে তৃণমূল কর্মীদের ডেকে বলেন, এসো চলে এসো, কাটমানির পয়সা শেষ ? কত করে দিয়েছে ? চা খেয়ে যাও, চা খেয়ে যাও। চা আসছে, চা আসছে, এসো এসো।এটা কাটমানির পয়সায় চা নয়, কটাক্ষ করে আহ্বান জানান তিনি।প্রসঙ্গত, দিলীপ-উদয়নের তোপ দাগাগাগি এই প্রথমবার নয়। কোচবিহারের  দিনহাটায় রাজনৈতিক অশান্তির ঘটনাতেও এর আগে দুজনের উষ্ণ বাক্য বিনিময় হয়।গুলি, বোমাবাজি ও ভাঙচুরের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল দিনহাটা। শাসকদলের অভিযোগ, বিজেপি নেতার বাড়ি থেকেই ছোড়া হয়েছিল গুলি-বোমা ছোড়া হয়। এই মর্মে থানায় অভিযোগও জানায় তারা। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির। গ্রেফতারের আগে দোষারোপের পালা চলে।