কলকাতা: মণিপুর ইস্যুতে (TMC) তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর মিছিল। হাজরা থেকে শুরু হয়েছে মিছিল, যাবে অ্যাকাডেমি চত্বর পর্যন্ত। উপস্থিত থাকবেন ফিরহাদ হাকিম, অতীন ঘোষরা।
হিংসা আগুনে উত্তাল মণিপুর
প্রসঙ্গত, হিংসা আগুনে উত্তাল মণিপুর। গত দুই মাস ধরে হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ঘর ছাড়া প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। তা নিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে নিষ্কৃয়তার অভিযোগ উঠেছে। আর এই ইস্যুতেই গত ২১ জুলাই এর জনসভা থেকে মমতা ও অভিষেককে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছিল। এদিকে মালদার ঘটনাটি ঠিক তার পরপরই প্রকাশ্য়ে আসে।
মাঝে হিংসার ঘটনা মালদায়
মালদায় (Malda Violence) দুই মহিলাকে 'বিবস্ত্র করে মারধর'-র ঘটনায় এই মুহূর্তে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে রাতভর এসপি অফিস ঘেরাও চালায় বিজেপি। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অমিত মালব্য, অনুরাগ ঠাকুর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার মণিপুর ইস্যুতে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে রাজপথে নামল শাসকদল।
'মমতার রাজ্যে লজ্জাজনক ঘটনা'
এই প্রসঙ্গে অনুরাগ ঠাকুর বলেন,'অপরাধের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই বাংলা, ভোটের সময় বোমার খবর বেশি পাওয়া যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মমতা কোথায় আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।কেউ কোনও কথা বলছে না, সবাই মূক হয়ে গিয়েছেন। মমতার রাজ্যে ঘটছে একের পর এক লজ্জাজনক ঘটনা। কোথায় গেলেন মোমবাতি মিছিল করা প্রতিবাদীরা?' প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, 'মেদিনীপুর, ডেবরায় আদিবাসীদের উপর অত্যাচার হয়েছে। বাংলা-বিহার-রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীরা দায় অস্বীকার করতে পারবেন না। ভয়ের বাতাবরণে বাঁচছেন বাংলার মহিলারা। কী করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?'
আরও পড়ুন, অভিষেক মন্তব্যের বিরোধিতায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ধাক্কা খেল BJP
'মণিপুর ঢাকতেই বাংলার তুলনা টানছে বিজেপি'
অনুরাগ ঠাকুর আরও বলেন, 'কংগ্রেস আমলে মণিপুরের অবস্থা আরও খারাপ ছিল। মণিপুর নিয়ে সংসদে আমরা আলোচনা চাইছি, কেন এতে ভয় পাচ্ছেন বিরোধীরা? একটি দলের কেউ সংসদে নেই বলে কি সংসদ চলতে দেওয়া হচ্ছে না? বাংলায় মমতা নির্মমতার প্রতীক।'যদিও গেরুয়া শিবিরকে জোর নিশানা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, 'মণিপুর ঢাকতেই বাংলার তুলনা টানছে বিজেপি।' তোপ দেগেছেন একই সুরে সায়নী ঘোষও।