সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: শহরে (Kolkata News) ফের অগ্নিকাণ্ডের (Kolkata Fire) ঘটনা। তাও আবার একরাতে দু'-দু'বার। তবে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দমকলবাহিনী। শর্ট সাক্রিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পোস্তায় কাপড়ের গুদামে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে এল এক ঘণ্টার চেষ্টায়
রাতের শহরে এ বার জোড়া আগুন। শুক্রবার রাত ১২টা নাগাদ প্রথমে পোস্তার শুকলাল জহুরি রোডে একটি কাপড়ের গুদামে আগুন লাগার খবর সামনে আসে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। প্রায় একঘণ্টার চেষ্টায় সেখানে চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। চার তলা বাড়ির নিচের গুদামটিতে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলবাহিনীর।
মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডে চটের গুদামে আগুন, কারণ অধরা
অন্য দিকে, গতকাল রাত ১টা নাগাদ মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডে একটি চটের গুদামে ধোঁয়া আর আগুন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকল বিভাগকে। দমকলের ৩টি ইঞ্জিন সেখানে ছুটে আসে। তার পর প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
এর আগে, গত ২২ মার্চ নিউ আলিপুরে একটি রঙের গুদামে আগুন লাগে। গুদাম লাগোয়া ঝুপড়ি এলাকায় যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজে নামে দমকল বাহিনী। দুই দিক তেকে জল ছুড়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন দমকল কর্মীরা। কিন্তু ভয়াবহ আগুনে ভেঙে পড়ে গুদামের একাংশ। রাসায়নিক থাকায় দ্রুত ছড়াতে শুরু করে আগুন। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে এক জন অসুস্থও হয়ে পড়েন।
তার আগে, ট্যাংরায় মেহের আলি লেনে ওয়াটারপ্রুফ কাপড়ের কারখানায় বিধ্বংসী আগুনে সব ছারখার হয়ে যায়। গুদামের দেওয়ালে ফাটল ধরে। জানা যায়, গুদামের দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। দমকলের প্রথমিক অনুমান গুদামের ওয়েল্ডিং কাজ চলছিল, সেখান থেকে আগুনের ফুলকি ছিটকে বিপত্তি বাধে।
আগুন নেভাতে গিয়ে আক্রান্ত হন বেশ কয়েকজন দমকল কর্মীও। আগুন নেভাতে গিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। বেশ কয়েকজন দমকল কর্মীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে।