সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা:
সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: ভর সন্ধে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ (Clash Between Two Groups)। তাতে তেতে উঠল ফুলবাগান থানা এলাকা। বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক গাড়িতেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষ পর্যন্ত নামতে হয় পুলিশকে। যদিও এই ঘটনায় পুলিশকের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
থানা থেকে অনতিদূরেই সংঘর্ষ
শুক্রবার সন্ধ্যায় ফুলবাগান (Phoolbagan) থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে, সিআইটি রোডের উপর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে (Violent Clash)। বচসা থেকে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা (Kolkata News)। এর পর হিংসা ছড়ায় অনেক দূর। এলাকার বেসয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় একাধিক গাড়িতেও। তাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকা।
এর পর স্থানীয়দের তরফেই ফোন করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও এই ঘটনায় পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, মাস কয়েক আগেও, এই দুই গোষ্ঠী মধ্যে বিবাদ বাদে। এমনকি এলাকায় বোমাবাজি পর্যন্ত হয়। নির্মাণকার্য নিয়ে বিবাদের জেরেই পরিস্থিতি তেতে ওঠে বলে অভিযোগ।
নির্মাণকার্য ঘিরে ঝামেলা বলে অভিযোগ
তবে ঝামেলায় লিপ্ত দুই পক্ষই তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের অনুগামী বলে স্থানীয়দের দাবি। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা ছিল। ফুলবাগান থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূল বিধায়কের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
এ দিকে, শুক্রবার সন্ধেয় জনবহুল পলতার জনবহুল এলাকায় গৃহবধূ খুন হন এক গৃহবধূ। তিনি এয়ারফোর্স সার্জেন্টের (Air Force Sergeant) স্ত্রী। তাঁর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই অসম থেকে বদলি হয়ে স্ত্রী রঞ্জনা দেবীকে নিয়ে পলতায় আসেন এয়ারফোর্স সার্জেন্ট অমর লাল। গতকাল বিকেলে অফিস থেকে ফিরে দুই মেয়েকে নিয়ে পার্কে বেড়াতে যান। তাঁর দাবি, ফিরে এসে বিছানার ওপর স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। দুই মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। স্বামীকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।