রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: কলকাতার নারকেলডাঙায় (NarkelDanga) ক্যালকাটা জুটমিলে ঝুলল সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস। আজ সকালে কাজে এসে কারখানা বন্ধ দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আর্থিক মন্দার কারণেই মিল বন্ধ রাখা হয়েছে।
একইদিনে ঝাঁপ পড়ল দু’-দু’টি জুটমিলে। উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার রিয়ালেন্স জুটমিলের পর কলকাতার নারকেলডাঙায় ক্যালকাটা জুটমিল। বৃহস্পতিবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে, কারখানার গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দেখতে পান শ্রমিকরা।
কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় এক হাজার শ্রমিক। এরপরই কারখানা খোলার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। কারখানা বন্ধের কারণ হিসেবে উত্পাদন কমে যাওয়ায় আর্থিক মন্দাকেই দায়ী করছে কর্তৃপক্ষ।
এক নোটিসেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ক্যালকাটা জুটমিলের শ্রমিকরা। কীভাবে সংসার চালাবেন, ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না তাঁরা।
উল্লেখ্য, নতুন বছর পড়তে না পড়তে পরপর কারখানায় তালা পড়তে শুরু করে। এর আগে বন্ধ হয়েছিল হুগলির চাঁপদানির নর্থব্রুক জুটমিল। একের পর এক কারখানা বন্ধ হতেই রাজ্য সরকারকে বিঁধে ট্যুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
নতুন বছরের প্রথম দিনই বন্ধ হয়েছিল হুগলির চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল।দু’দিন আগে বন্ধ হয় ডানকুনির সোনা বিস্কুট ফ্যাক্টরি। এবার ঝাঁপ পড়ল চাঁপদানির নর্থব্রুক জুটমিলে। সোমবার রাতে কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানার গেটের সামনে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দেখেন শ্রমিকরা। রাতারাতি কর্মহীন হয়ে পড়লেন চার হাজারের বেশি শ্রমিক।
আচমকা কারখানা বন্ধ হওয়ায় রাজ্যের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে গেরুয়া শিবির। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসক পক্ষও। গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই হুগলি শিল্পাঞ্চলের একটার পর একটা জুটমিলে তালা ঝুলছে। রিষড়ার ওয়েলিংটন জুটমিল, শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুটমিল এবং ভদ্রেশ্বরের শ্যামনগর জুটমিল বন্ধ হওয়ায় কাজ হারিয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক।