কলকাতা: নিউটাউনের (Newtown) বাড়িতে আটকে দেওয়া হল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Mazumdar)। জোর করে বেরোনোর চেষ্টা করলে ধুন্ধুমার। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি (BJP) কর্মীদের বচসা, ধস্তাধস্তি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি। বাড়ির সামনে বসানো হয় গার্ড রেল। সেই গার্ড রেল ভেঙে দেন বিজেপি কর্মীরা। গতকাল বিজেপির যে সমস্ত পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে, সেগুলি আজ পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির।
পয়গম্বর-বিতর্কে প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব! অগ্নিগর্ভ হাওড়া! আর তার আঁচে অশান্ত হয়ে উঠল বঙ্গ রাজনীতিও!সুকান্তর বাড়ির সামনে সিআইএসএফ-পুলিশের ধস্তাধস্তি। পুলিশ কর্মীকে ধাক্কা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। হাওড়ায় যেতে দফায় দফায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে বাধা পুলিশের!
দফায় দফায় বাধল অশান্তি। শুক্রবার হাওড়ার উলুবেড়িয়া (Uluberia) ও পাঁচলায় (Panchla) বিজেপির পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পরে, এদিন সেখানে যাবেন বলে ঠিক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু, পুলিশ তাঁকে বাধা দেওয়ায় বাধল তুমুল অশান্তি।
এদিন সকালেই নিউটাউনে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Mazumdar) বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়! দুপুর ২টোর কিছু আগে সুকান্ত বাড়ি থেকে বেরোতে যেতেই বাধা দেয় পুলিশ। বেধে যায় তুলকালাম । বিজেপি (BJP) কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ (Kolkata Police) অফিসারদের সঙ্গে তর্কাতর্কি বেধে যায় বিজেপি নেতাদের।
আরও পড়ুন: 7th Pay Commission: ৫ শতাংশ বাড়তে পারে ডিএ, জুলাইতেই বড় ঘোষণা
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, আমি যাচ্ছিলাম, আটকাল, আমার সিকিওরিটি, কর্মীদের মারা হয়েছে, অ্যাসল্ট করা হয়েছে আমাকে, পুলিশ এসব করছে...পুলিশ এই সক্রিয়তা যদি হাওড়ায় দেখাত তাহলে হাওড়া শান্ত থাকত, কোনও কাগজ নেই, ভার্বাল, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আটকেছে। প্রায় ৩ ঘণ্টার টানাপোড়েনের পরে নিউটাউন থেকে কনভয় নিয়ে বেরিয়ে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।