ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : কলকাতা সংলগ্ন হাতিয়াড়ায় জাল নোট কারখানার হদিশ। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেফতার ২। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭০ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট।
টেবিলের ওপর থরে থরে সাজানো ১০০ টাকার নোট। রয়েছে ৫০০ টাকার নোটও। কিন্তু একটাও আসল নয়। পুলিশের দাবি, সবকটা জাল নোট! এবার কলকাতা সংলগ্ন হাতিয়াড়ায় জাল নোটের কারখানার হদিশ। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মঙ্গলবার সন্ধেয় টাকি হাউস বয়েজ স্কুলের কাছ থেকে চেঙ্গিস আলম ও আফজল আলি নামে ২ জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৭০ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট।
বুধবার চেঙ্গিজকে নিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ইকো পার্ক থানা এলাকার হাতিয়াড়ায় এই ভাড়াবাড়িতে জাল নোটের কারখানার হদিশ মেলে বলে তদন্তকারীদের দাবি। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম। কাগজের বান্ডিল থেকে শুরু করে রং, রাসায়নিক, কাঠের ফ্রেম, প্রিন্টার, কী নেই সেখানে। এই সমস্ত সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ল্যাপটপ ও পেনড্রাইভ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে, অভিনব উপায়ে মাদক পাচারের (Drug Dealing) চেষ্টা। পার্সেলের মোড়কে ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে শহরের এক পোস্ট অফিসে মাদক আনানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে দাবি, পোস্ট অফিস থেকে পার্সেল ডেলিভারি নিয়ে বেরোন মাত্রই কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেফতার ২ পাচারকারী। উদ্ধার হওয়া মাদকের বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা।
পোস্ট অফিসে পার্সেল (Post Office Parcel) আনিয়ে, মাদক পাচারের চেষ্টার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। পার্সেল নিয়ে বেরোতেই হাতেনাতে গ্রেফতার ২ পাচারকারী। উদ্ধার কয়েক লক্ষ টাকার মাদক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মাদক পাচারের ছক বানচাল করল কলকাতা পুলিশের STF। শহরের কোথায়, কাদের এই মাদক পাচারের পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের? ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছে STF।
আরও পড়ুন- কোথায় গেলেন মানিক ভট্টাচার্য? লুক আউট নোটিস জারি সিবিআইয়ের