হিন্দোল দে, কলকাতা : বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়েছিল ঘণ্টার পর ঘণ্টা (Negligence in Treatment)। এনআরএস হাসপাতালের (NRS Hospital) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল মৃতার পরিবার। লিখিত অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতালের সুপার (Hospital Super)।


ফের শিশুমৃত্যু, অভিযোগ চিকিৎসায় গাফিলতির


আবার কোল খালি হয়ে গেল এক মায়ের। আবার প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা। এবার এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতিতে বেলেঘাটার বাসিন্দা এক তরুণীর (৩০) মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। মৃতার মা চায়না দে-র অভিযোগ, 'সকালে বড় চিকিৎসক এসে বলল দীর্ঘক্ষণ কিছুই করেনি, খুব খারাপ অবস্থা। কিছুক্ষণ পরেই মারা গেল'।


পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বুকে ও পেটে ব্যথা অনুভব করেন রিম্পা দে। রাত আড়াইটে নাগাদ এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরিবারের দাবি, কোনও চিকিৎসা ছাড়াই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেলে রাখা হয় তরুণীকে। এমনকী জল, অক্সিজেন চাইলে দুর্ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ। পরিবারের দাবি, সোমবার সকাল ৬টা নাগাদ তাঁদের তরুণীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। মৃতার দিদি টুম্পা দে বলেছেন, 'ওনারা কিছু না পারলে, কেন বললেন না। শাস্তি হোক। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ এই ঘটনা যেন আর না ঘটে।'


অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখার আশ্বাস হাসপাতালের

বুকে-পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর তরুণীর মৃত্যু হয়। সেই তথ্য গোপন রাখার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিজনরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এনআরএস-র সুপার ইন্দিপা দে পাল বলেছেন, 'শুনেছি এরকম ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ হলে খতিয়ে দেখব। কমিটি গড়ে তদন্ত করে দেখব, ব্যবস্থা নেব।' এনআরএসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল, যেখানে রোজ শয়ে শয়ে রোগী আসেন। সেখানেই চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল।


আরও পড়ুন- জানতেই পারলেন না, হয়ে গেল হার্ট অ্যটাক ! সায়লেন্ট অ্যটাকের লক্ষণ কী ? কী করবেন?


গত ডিসেম্বরে চিকিত্‍সায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে SSKM হাসপাতালে ধুন্ধুমার (SSKM Hospital) বাঁধে। ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ৪ জন চিকিত্‍সককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে মৃতের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এই ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ভবানীপুর থানার পুলিশ।