সৌমিত্র কুমার রায়, কলকাতা : চিকিৎসা করাতে গিয়ে হেনস্থার শিকার ! আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (R G Kar Medical College and Hospital) হাসপাতালে আশি ঊর্ধ্ব রোগিণীকে ট্রলি দেওয়া নিয়ে টালবাহানার প্রতিবাদ করায়, নিরাপত্তা রক্ষী ও পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে রোগিণীর আত্মীয়দের মারধরের অভিযোগ উঠল।
পরিবার সূত্রে খবর, মানিকতলার বাসিন্দা ওই রোগিণীর কোমরে গতকাল অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, রোগিণীকে ওটি-তে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রলি পেতে হয়রানির শিকার হন আত্মীয়রা। এই নিয়ে বচসার জেরে, হাসপাতালের লিফটের মধ্যে রোগিণীর মেয়ে-জামাই ও নাতনিকে নিরাপত্তা রক্ষী, সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) ও পুলিশ কর্মীরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। রোগিণীর এক আত্মীয়ের কথায়, 'ট্রলি চাওয়া নিয়ে টালবাহানা শুরুর পর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা শুরু হয়। লিফটের মধ্যে ফেলে পরিবারের লোকজনকে মারধর করা হয়। সঙ্গে হুমকি দিতে থাকে তোমরা কিছুই করতে পারবে না।' টালা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আরজি কর হাসপাতাল ও পুলিশের (Police) তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে এক রোগী পাইপ বেয়ে ৪ তলার কার্ণিশে উঠে পড়া পরে মৃত্যু ঘিরে আরজি করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। অর্থোমেডিসিন বিভাগে যে রোগীর চলছিল চিকিৎসা। কিন্তু সেখান থেকে সিনেম্যাটিক কায়দায় কার্ণিশ বেয়ে, পাইপ বেয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন ওই রোগী। শেষপর্যন্ত দমকল কর্মীরা চারতলার কার্ণিশ থেকে উদ্ধার করেছিলেন রোগীকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কিছুটা পরই মারা যান ওই রোগী।
এদিকে, গত ডিসেম্বরে চিকিত্সায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে SSKM হাসপাতালে ধুন্ধুমার (SSKM Hospital) হয়েছিল। ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ৪ জন চিকিত্সককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে মৃতের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। রোগীর মৃত্যুর পরই আত্মীয়রা চড়াও হন ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। অভিযোগ, শুধু চিকিত্সদের মারধরই নয়, ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালের ভিতরেও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি করেছিল, চেয়ার টেবিলের পাশাপাশি, ভাঙা হয় এক্স রে মেশিনের ভিউয়ার। ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভাঙচুর চালানো হয়। যে ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ভবানীপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- আজকেও স্বস্তির আবহাওয়া, দুর্যোগ বাড়বে উত্তরে, দক্ষিণবঙ্গে কোন কোন জেলায় বৃষ্টি ?