সন্দীপ সরকার, কলকাতা: পাভলভ মানসিক হাসপাতালে (Pavlov Hospital) গাছে উঠে পড়লেন রোগী। তার জেরে তুমুল টানাপোড়েন শুরু হল ভরদুপুরে। ওই রোগীকে নামাতে হিমশিম খেলেন হাসপাতালের কর্মীরা। নিরুপায় হয়ে ডাকতে হল দমকলকে। শেষমেশ আধ ঘণ্টার চেষ্টায় নামানো সম্ভব হল ওই রোগীকে।


ফের বিতর্কের কেন্দ্রে পাভলভ হাসপাতাল


রবিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে কলকাতার বেনিয়াপুকুরের পাভলভ মানসিক হাসাপাতালে এই ঘটনা ঘটে (Kolkata News)। হাসপাতালের ভিতরে কৃষ্ণচূড়া গাছে উঠে পড়েন বছর চল্লিশের ওই রোগী। তাঁকে নামাতে হিমশিম খান হাসপাতালের কর্মীরা। অগত্যা ডাক পড়ে দমকলের। তার পর আধ ঘণ্টার চেষ্টায় নামানো সম্ভব হয় ওই রোগীকে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের নজর এড়িয়ে কী ভআবে ওই রোগী গাে উঠে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পাভলভে রোগীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে নতুন করে।


শনিবার থেকে নতুন করে খবরের শিরোনামে পাভলভ মানসিক হাসপাতাল। অন্ধকার, স্যাঁতস্যাতে, নোংরা ঘরে ১৩ জন মানসিক রোগীকে তালাবন্দি করে রাখার খবর সামনে আসে। সেই ঘরে যত্রতত্র লোহার ধারাল টুকরো পড়ে থাকা এবং রোগীদের শরীরে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে বলেও জামনা যায়। স্বাস্থ্য দফতরের এই রিপোর্টে ফের কাঠগড়ায় ওঠে পাভলভ হাসপাতাল। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের সুপারকে শোকজ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।


আরও পড়ুন: Pavlov Hospital: আঁতাতে পাস বিল-তথৈবচ পাভলভ, উঠল আরও বড় অভিযোগ


কিন্তু তার পরও বিতর্ত থামেনি। বরং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারি দলের রিপোর্টে এর উল্লেখ মিলেছে।  নজরদারি ছাড়াই আবাসিকদের খরচ বাবদ ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে উঠে এসেছে ওই রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, ঠিকাদারের সঙ্গে বিভাগীয় প্রধানের আঁতাঁতে পাস হয়ে যায় ওই বিল। অথচ রোগীদের খাবারের পরিমাণ কম এবং নিম্নমানের। দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয় রোগীদের, নেই কোনও ডায়েট কমিটি।


পাভলভের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও


শুধু তাই নয়, বছরে ১ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ হয় আবাসিকদের পোশাকের জন্য, অথচ আবাসিকদের ছেঁড়া পোশাক পরিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, রোগীদের দেওয়া হয় না অন্তর্বাস। হাসপাতালের আউটডোরের অবস্থাও ভয়াবহ। জানলা-দরজা ভাঙা, শৌচাগার ব্যবহারের অযোগ্য। সাধারণ চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ নেই হাসপাতালে। স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারি দলের রিপোর্টেও তার উল্লেখ মিলেছে। লিখিত জবাব চেয়ে ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের সুপারকে।