সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: আমাদের রোজকার কাজ-কর্মের অনেকটাই আজ ডিজিটাল-নির্ভর (Digital Dependence)। করোনা-পরবর্তী সময়ে ইন্টারনেট-নির্ভরতা (Internet Dependence) আরও বেড়েছে। আর এই সুযোগে সাইবার (Cyber) জগতে প্রতারণার জাল ছড়াচ্ছে প্রতারকরাও (Cheat)। দিনে দিনে বাড়ছে সাইবার-প্রতারণা (Cyber Fraud)। যা রুখতে কোমর বাঁধছে পুলিশও (Cops)। নিয়মিত চলছে সচেতনতামূলক প্রচার (Awareness Campaign)। সাইবার অপরাধের (Cyber Crime) মোকাবিলায় পুলিশকর্মীদের জন্যও ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণের (Training)।


সাইবার অপরাধের অভিযোগ যত দ্রুত জানানো যায়, টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা ততটাই উজ্জ্বল থাকে। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতার এক ব্যবসায়ীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সাত লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যায়। কয়েকঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ পেয়ে সেই টাকা ফেরাতে সক্ষম হয় কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সেন্ট্রাল ডিভিশন সাইবার সেল। সাইবার-প্রতারণার তদন্তে এরকমই তৎপরতা চাইছেন পুলিশকর্তারা। শুধু ডিভিশনগুলিতে সাইবার সেল নয়, প্রতিটি থানায় কয়েকজন অফিসার নিয়ে সেল তৈরি করে সাইবার অপরাধ দমনে আরও তৎপর হতে চাইছে পুলিশ।


প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি থানার ওসি ও অ্যাডিশনাল ওসি-দের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। কলকাতা পুলিশের হেড কোয়ার্টারেরই চলছে ক্লাস। যেখানে সাইবার অপরাধ ও ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মোকাবিলা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের অপরাধ রুখতে প্রথমেই কী পদক্ষেপ নিতে হবে, গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারকের কাছে টাকা গেলে, প্রথম পর্বেই তা কীভাবে আটকাতে হবে, প্রতারক যাতে সেই টাকা ব্যবহার না করতে পারে, সেজন্য কী করতে হবে, এসব বিষয়েই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।


বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়ালেটে টাকা ট্রান্সফারের পর কয়েকঘণ্টা সেখানেই টাকা থাকে। অভিযোগ পাওয়ামাত্র সেই ওয়ালেট চিহ্নিত করে ব্লক করার কৌশল শেখানো হচ্ছে প্রশিক্ষণে। পরবর্তী পর্বে থানা থেকে বাছাই করে পুলিশকর্মীদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। প্রশিক্ষণ পর্ব মিটলে থানাগুলিতে তৈরি হবে ছোট ছোট সাইবার সেল।


সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতা এবং জেলাগুলি থেকে বেশ কয়েকটি সাইবার প্রতারণার অভিযোগ এসেছে। এই অপরাধ মোকাবিলাতেই সচেষ্ট হল পুলিশ।