কলকাতা: দুর্যোগে বিপর্যস্ত কলকাতা। বেকায়দায় ট্রাফিক ব্যবস্থা। জল জমে যাওয়ার কারণে শহরে একাধিক অংশে রুট ঘোরানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশের ৩ টি বড় জায়গা। উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ কলকাতা।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, পিতৃপক্ষে হিজাব পরে উদ্বোধন, ফল ভোগ করতে হচ্ছে কলকাতার মানুষকে, জমা জলে মৃত্যুমিছিলের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে 'দায়ী' করে আর কী বললেন শুভেন্দু

Continues below advertisement

উত্তর কলকাতার উল্টোডাঙায় আন্ডারপাস এবং হাটকো মোড়, সেখানে তো জল রয়েছে। এবং সেখানে অনেক গাড়ি অচল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলত ট্রাফিক জ্যাম তৈরি হয়। মধ্য কলকাতার ঠনঠনিয়া, এমজি রোডের বিস্তীর্ণ জায়গা-সহ আরও একাধিক জায়গায় এখনও থইথই জল। পার্কসার্কাস সেভেন পয়েন্টেও জমা জল। এছাড়াও দক্ষিণ কলকাতার সার্দান এভিনিউতেও জলে একাকার অবস্থা। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকে বলা হচ্ছে পার্কসার্কাসের সেভেন পয়েন্ট এবং উল্টোডাঙা, এই দুটো জায়গায় তাঁরা ট্রাফিক ডাইভারশন করছেন। কারণ খুব বেশি জল জমে রয়েছে। সার্দান এভিনিউতেও একই ছবি ! ডিসি ট্রাফিক কলকাতা পুলিশ, ওয়াই শ্রীকান্ত বলেন,  মধ্য কলকাতার সেভেন পয়েন্ট, ওখানে একটু জল বেশি জমেছে। পার্কস্ট্রিট ও ক্যামাকস্ট্রিটেও জল জমে আছে। উত্তর কলকাতার আমারস্ট্রিটেও জল বেশি জমে আছে। লেকবেস এলাকা দেশপ্রিয় পার্কেও জল জমেছে।'

 জল নামার পরও দুর্ভোগের শেষ নেই। কারণ, খানাখন্দে ভরা রাস্তা। যেখানে পুরসভার তরফে প্যাচওয়ার্ক করা হয়েছিল, সেগুলো এখন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, প্যাচওয়ার্ক কখনই স্থায়ী সমাধান নয়। বিকল্প উপায়ের কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।এক রাতের নাগাড়ে বৃষ্টিতেই নাভিশ্বাস দশা কলকাতাবাসীর। দিনভর শুধু দুর্ভোগ আর দুর্ভোগ!দিনের শেষে জল কিছুটা নামলেও দুর্ভোগ শেষ হয়নি! কারণ, এইসব রাস্তা। বর্ষা আসতে না আসতেই বিভিন্ন জায়গায় পিচের তাপ্পি ধুয়ে, বেরিয়ে পড়েছিল ইটের কঙ্কাল! পুজোর ক'দিন আগে কিছু জায়গায় একটু জোড়াতালি দেওয়া হলেও, সোমবার রাতের বৃষ্টিতে তা ফের সাফ! আবার বেরিয়ে পড়েছে রাস্তার কঙ্কালসার চেহারা। এটা দক্ষিণ কলকাতার আশুতোষ মুখার্জি রোড। রাস্তায় যেখানে খানাখন্দ হয়েছিল, শুধুমাত্র সেই অংশটুকুই পিচ ঢেলে মেরামত করা হয়। কিন্তু, তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। কারণ বৃষ্টির জেরে প্যাচ ওয়ার্ক ধুয়ে, ফের বেরিয়ে পড়েছে ফাটল। 

চূড়ান্ত বেহাল অবস্থা ই এম বাইপাস লাগোয়া মাদুরদহ মেন রোডের।স্থানীয়দের দাবি, মাসখানেক আগে এখানে তাপ্পি দিয়ে গর্ত বোজানো হয়েছিল।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক   প্রীতম আইচ বলেন, জলের সঙ্গে বিটুমিনের ওহি-নকুল সম্পর্ক। যে খানাখন্দগুলিতে বিটুমিনের সাহায্যে ভরাট করা হয়েছিল, সেই সব রাস্তায় গতকাল থেকে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে এবং সেই জল যতক্ষণ ধরে জমে আছে, তাতে শুধু যে এখন রাস্তাটার ক্ষতি হবে, তা নয়। পরবর্তী সময়ে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ভেঙে যাবে। তাই ওই সব রাস্তায় নতুন করে পিচ ঢালা ছাড়া কোনও উপায় নেই, কারণ সারানোর আগে যে অবস্থায় ছিল, এই বৃষ্টিতে কার্যত সেই অবস্থায় ফিরে গেল।