কলকাতা: মাধ্যমিকের সময় পড়ুয়ারাদের জন্য ত্রাতা হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশ। এবার উচ্চমাধ্যমিকেও সেই ভূমিকাতেও কলকাতা পুলিশ। যেসব পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে বিপাকে পড়েছিলেন, তাঁদের উদ্ধার করে পরীক্ষাকেন্দ্রে দিয়ে আসলেন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের ইনস্পেক্টররা। 


ঠিক কী হয়েছে? 


সকাল ৯.৫০ নাগাদ শ্যামবাজার পাঁচমাথা মোড়ে পুলিশের দিকে এগিয়ে আসে এক ছাত্র। সে জানায়, দুই কিলোমিটারেরও বেশি দূরে রঘুমল আর্য বিদ্যালয়ে তার পরীক্ষা কেন্দ্র। কিন্তু পরীক্ষা শুরু সকাল দশটায়। অর্থাৎ সময়মত পৌঁছনোর কোনও আশাই নেই। এরপর এক মিনিট সময় ব্যয় না করে উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ডকে ‘গ্রিন করিডর’ তৈরি করার নির্দেশ দেন শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডের ওসি ইনস্পেকটর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পড়ুয়াকে নিজের গাড়িতে বসিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিট আগে। 



অন্যদিকে সকাল সাড়ে নটা নাগাদ কাঁকুড়গাছিতে ইন্দ্রাণী মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের কাছে ডিউটিতে ছিলেন উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট অনুপম চক্রবর্তী। কিছু অভিভাবক তাঁকে জানান, বেলেঘাটার শান্তিনগর এলাকায় নিজের বাড়িতে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ফেলে এসেছে এক ছাত্রী। সঙ্গে সঙ্গে নিজের বাইকে বসিয়ে তাকে নিয়ে তার বাড়ি চলে যান অনুপম, এবং ছাত্রীর মায়ের কাছ থেকে কার্ড নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে তাকে পৌঁছে দেন পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই।                                                                                                         


আরও পড়ুন, মস্তিষ্কে টিউমার, চোখে ক্ষীণ দৃষ্টি, জীবনযুদ্ধে লড়াই করতে করতেই উচ্চমাধ্যমিকে বসলেন শাহিনা


মাধ্যমিকের সময়ও পুলিশের এমন মানবিক মুখ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। ভুল করে বাড়িতে অ্যাডমিট কার্ড বাড়িতে ফেলে  এসেছিলেন পড়ুয়া। আর দেরি না করে, তখনই আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে গাড়িতে বসিয়ে ঘোষ বাগান লেনে তার বাড়িতে নিয়ে যান কলকাতা পুলিশের ইনস্পেক্টর। এরপর অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে পরীক্ষার্থীকে পৌঁছে দেন মিল্ক কলোনির শ্রী রামকৃষ্ণ সারদা সঙ্ঘে, ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্রে।