পার্থপ্রতিম ঘোষ, সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: ২০২২-এর শুরুতেই বিশ হাজারের দোরগোড়ায় রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ। মারাত্মক এই পরিস্থিতিতে অভিনব উদ্যোগ নিল কলকাতা পুলিশ। অভিযোগ জানাতে এবার থেকে আর যেতে হবে না থানায়। কলকাতা পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরেই জানানো যাবে অভিযোগ।
বড়দিন, বর্ষবরণের পর গঙ্গাসাগর মেলা, নিজেদের সংক্রমিত হওয়ার ভয়কে তুচ্ছ করে পেশা আর দায়িত্বের টানে পথে নামা। ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতিতে একের পর এক ভিড় নিয়ন্ত্রণ।
উদাসীনদের সামাল দিতে বেসামাল। কলকাতার থানাগুলিতে পরপর আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশকর্মী থেকে অফিসাররা। শনিবার পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা সাড়ে তিনশোর গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, থানায় সাধারণ মানুষের যাতায়াত কমাতে হোয়াটস্যাপে অভিযোগ জানানোর পরিষেবা চালু করল লালবাজার। ইতিমধ্যেই কলকাতার থানাগুলিতে পৌঁছে গিয়েছে সেই নির্দেশিকা। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি হল ৮১০০৭৯৬৪৫৪। শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপে লিখিতভাবেই নয়, ভয়েস মেসেজ, এমনকী ভিডিও কলের মাধ্যমেও কর্তব্যরত অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন অভিযোগকারী। লালবাজারের তরফে ইতিমধ্যেই প্রত্যেক থানার কাছে মোবাইল ফোন পাঠানো হয়েছে। মোবাইল ফোনটি থাকবে ডিউটি অফিসারের কাছে।
ভবানীপুর থানায় সংক্রমিত পুলিশকর্মীর সংখ্যাটা ৩০। থানার বাইরে পুলিশের তরফে পোস্টার টাঙানো হয়েছে। শেয়ার করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। আজ শেক্সপিয়র সরণি থানার সামনে পুলিশকে প্রচার করতে দেখা যায়।
করোনা সংক্রমণ যখন ক্রমশ বাড়ছে, সেই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ভয়ঙ্কর সংক্রমণের অভিঘাত কম সামলাতে হয়নি কলকাতা পুলিশকে। করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে একের পর এক মৃত্যু হয়েছে সহকর্মীর। অনেকেই বলছেন, এবারও নিজেরা সংক্রমিত হলেও, গণ-সুরক্ষাই যে তাঁদের মূল লক্ষ্য, ফের প্রমাণ করলেন পুলিশকর্মীরা।
দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে থানায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কমানোর উদ্যোগ নিল কলকাতা পুলিশ। আশা করা যায়, এর সুফল পাওয়া যাবে।