কলকাতা: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সহকারী হিসাবরক্ষক চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Chandan Banerjee) ফের তলব ইডির (ED)। চলতি সপ্তাহে ফের হাজিরার নির্দেশ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সহকারী হিসাবরক্ষক চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে লালবাজারও।


'তল্লাশির দিন অফিসে ইডি কী কী করেছিল?


ইডির বিরুদ্ধে ১৬টি এক্সেল ফাইল ডাউনলোডের অভিযোগ জানান চন্দন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আজ চন্দনকে তলব করেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। 'তল্লাশির দিন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নিউ আলিপুরের অফিসে ইডি কী কী করেছিল? কতক্ষণ ধরে তল্লাশি চলেছিল? কোন কোন কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়েছিল?', এসব বিষয়েই চন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রের খবর।


ইডির অভিযান ঘিরে অভিযোগের অনুসন্ধান করে লালবাজার


গত ২৬ অগাস্ট লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে ইডির অভিযান ঘিরে অভিযোগের অনুসন্ধান করে লালবাজার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে সংস্থার কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করার অভিযোগ করেছিল লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস। সংস্থার সহকারী হিসারক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতেই অনুসন্ধান শুরু করে পুলিশ। তাতে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ২ কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়।  রবিবার ১৬টি ফাইল ডাউনলোডের কারণ ব্যাখ্যা করে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেয় ইডি।


ঠিক কী ঘটেছিল বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে ?


চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, নিউ আলিপুরে সংস্থার অফিসে তল্লাশি অভিযান শেষের আগে ইডি-র এক তদন্তকারী অফিসার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওয়েবসাইট খুলেছিলেন। ইডি-র দাবি, ওই অফিসারের ১৮ বছরের মেয়ের ২৩ অগাস্ট থেকে কলেজে নতুন ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। যাদবপুরের র‍্যাগিংকাণ্ডের পর রীতিমতো উদ্বিগ্ন ছিলেন ওই ইডি অফিসার। তাই মেয়ের জন্য হস্টেল খুঁজতে গিয়ে এই ১৬টি ফাইল কোনওভাবে ডাউনলোড হয়ে যেতে পারে।


আরও পড়ুন, দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণে মৃত্যুমিছিল, গ্রামে ফিরতেই অভিযুক্তের ছেলেকে গণধোলাই


'পুরোটাই সিসি ক্যামেরা বন্দি হয়েছে, কোনও বেআইনি কাজ হয়নি'


চিঠিতে ইডি-র দাবি, অভিযোগকারী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের তিন কর্মীর সামনেই এই ঘটনা ঘটে। পুরোটাই সিসি ক্যামেরা বন্দি হয়েছে। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা সংবাদমাধ্যম সূত্রে জেনেই কলকাতা পুলিশকে এই চিঠি বলে ইডি জানিয়েছে। চিঠিতে ইডি-র আরও দাবি, ওই দিন গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া ও তল্লাশি অভিযান পিএমএলএ-র ১৭ নম্বর ধারা মেনেই চালানো হয়েছিল। কোনও বেআইনি কাজ হয়নি।