ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা :  থেকেই পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করবে  KMDA। ভেঙে ফেলার কাজ চলাকালীন বন্ধ থাকবে বিবেকানন্দ রোডের একাংশ। ভাঙার কাজ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে গণেশ টকিজ থেকে গিরিশ পার্কগামী রাস্তাও। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফে নোটিস জারি করা হয়েছে। পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে ফেলার কাজ চলাকালীন রুট বদলে অন্য পথে চালানো হবে গাড়ি। এমজি রোডে বন্ধ থাকবে ট্রাম চলাচল। এছাড়া, বি কে পাল অ্যাভিনিউ থেকে রবীন্দ্র সরণি পর্যন্ত নিমতলা ঘাট স্ট্রিটে একমুখী যান চলাচল করবে। KMDA সূত্রে খবর, প্রায় দেড়মাস ধরে চলবে পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে ফেলার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। 


গত জুন মাসেও হয় উড়ালপুল ভাঙার পয়লা দফা। বেশ কিছুদিন ধরে চলে বিপর্যস্ত পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে ফেলার কাজ। ফ্লাইওভার ভাঙার কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। যাতে কম্পন যতসম্ভব কম হয়। 
উড়ালপুলের যে অংশ ভাঙা হয়, তা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। তখনও নিয়ন্ত্রণ করা হয় চলাচল।


৫ বছর আগে, ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ, দিনের ব্যস্ত সময়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পোস্তার নবনির্মিত উড়ালপুলের একাংশ! ভয়াবহ সেতু বিপর্যয়ে মৃত্যু হয় ২৭ জনের। তারপর দীর্ঘ সময় ধরে এভাবেই রয়ে গেছে উড়ালপুলের ভাঙা অংশ। শেষমেশ তা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। 


ভেঙে পড়া পোস্তা উড়ালপুল মেরামতি সম্ভব নয় কোনওভাবেই। তাই বিপর্যস্ত সেতুর বাকি অংশও ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে KMDA। গোটা বিষয়টি হচ্ছে রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিস বা রাইটস-এর তত্ত্বাবধানে। 

২০০৮ সালে বিবেকানন্দ উড়ালপুল তৈরিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। ১৫০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ হয়েছিল। নির্মাণের দায়িত্ব পায় হায়দরবাদের সংস্থা আইভিআরসিএল। ২০০৯-র সেপ্টেম্বরে শুরু হয় সেতু তৈরির কাজ। 


২০১৮-র ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট সেতুতেও বিপর্যয় ঘটে। এখন মাঝেরহাটে নতুন সেতুর পথচলা শুরু হয়েছে। পোস্তায় কি নতুন সেতু-বন্ধন হবে ভবিষ্যতে?