কলকাতা: কালবৈশাখীর সময় রোয়িং ক্লাবে (Rowing Club) মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু। কৈশোর না পেরনো দুই তরতাজা প্রাণের এ ভাবে চলে যাওয়া মানতে পারছেন না তাদের নিকজনেরা। কিন্তু এই ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্নও আসছে, যেমন, অনুশীলনের সময় রবীন্দ্র সরোবরে (Rabindra Sarobar) কেন ছিল না ফলো বোট? কালবৈশাখীর সতর্কতা সত্ত্বেও কেন রবীন্দ্র সরোবরে রোয়িং? সাঁতার জানা সত্ত্বেও কীভাবে ডুবে গেল দুই ছাত্র? 


রোয়িং ক্লাবে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা


ক্লাব কর্তৃপক্ষে যদিও জানিয়েছেন, পরিবেশের জন্য় যন্ত্রচালিত বোট নিয়ে সমস্যা রয়েছে। কলকাতা পুরসভার শোকজের জন্যই রাখা যায়নি যন্ত্রচালিত ফলো বোট। রোয়িং শুরুর সময় আবহাওয়া যথেষ্ট ভাল ছিল বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। 


কালবৈশাখীর সময় রোয়িং ক্লাবে শনিবার বিকেলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঝড়ের সময় রোয়িং করতে গিয়ে রবীন্দ্র সরোবরে তলিয়ে যায় একটি রোয়িং বোট। দুর্ঘটনার সময় পাঁচ জন ছিল ওই বোটে। ১৯ বিআরসি স্টুডেন্টস রোয়িং চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য অনুশীলন করছিল তারা। শনিবারই জয়ী হয় পাঁচজনের ওই টিম। রবিবার ছিল ফাইনাল ম্যাচ। তার জন্য অনুশীলন চলছিল। সেই সময় ঝড়ের মুখে পড়ে উল্টে যায় বোটটি। জলে তলিয়ে গিয়ে মৃত্য়ু হয় তাদের মধ্যে দু'জনের। বাকি তিন জন সাঁতরে উঠে আসেন পাড়ে। 


আরও পড়ুন: SSC Recruitment Scam: 'কার সঙ্গে ফোনে কথা, কবে চাকরিতে যোগ মেয়ের,' চার ঘণ্টা ধরে পরেশকে জেরা, অঙ্কিতা অন্তরালেই


মৃত দুই কিশোরকে পূষণ সাধুখাঁ এবং সৌরদীপ চট্টোপাধ্যায় হিসেবে শনাক্ত করা গিয়েছে। তারা দু'জনই সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ছাত্র। কলকাতা পুলিশের এক ট্রাফিক কর্তার ছেলে পূষণ। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর দু'জনকে উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। অচৈতন্য অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। 


বেঘোরে মৃত্য়ু দুই কিশোরের


স্থানীয়দের দেওয়া ভিডিওয় ধরা পড়েছে দুর্যোগের মধ্যে  দুর্ঘটনার মুহূর্তের ছবি। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তার পর শুরু হয় উদ্ধারকাজ। রবিবারের ফাইনাল ম্যাচ আপাতত বাতিল করা হয়েছে।