আবির দত্ত, অনির্বাণ বিশ্বাস, রাজীব চৌধুরী, কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় (SSC Recruitment Scam) শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে (Paresh Adhikary) ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। সূত্রের খবর, মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikary) নিয়োগের সময় ফোনে কাদের কাদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল? কী বিষয়ে কথা হয়েছিল? এই সব নিয়েই পরেশকে প্রশ্ন করে সিবিআই (CBI)। এই ইস্যুতে রাজনৈতিক তরজাও চলছে সমানতালে।
প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দেন মন্ত্রী!
প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় পরেশ অধিকারীকে শনিবার ফের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। মেয়ে অঙ্কিতা যদিও এদিনও রইলেন অন্তরালেই।
বৃহস্পতিবার ৩ ঘণ্টা, শুক্রবার সাড়ে ৯ ঘণ্টা, শনিবার ৪ ঘণ্টা—গত ৩ দিনে মোট সাড়ে ১৬ ঘণ্টা CBI-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। শুক্রবারের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ার পরই পরেশ অধিকারীকে শনিবারও আসতে বলে দিয়েছিল সিবিআই। সেই মতো, শনিবার সকালে ১০.৩৫ মিনিটে নিজাম প্যালেসে হাজির হন পরেশ। সঙ্গে ছিল গুরুত্বপূর্ণ নথি।
CBI সূত্রের খবর, সঙ্গে করে আনা নথি সিবিআইয়ের কাছে জমা দেন পরেশ। প্রশ্ন করা হয়, SSC-র মেধাতালিকায় কত নম্বরে নাম ছিল তাঁর মেয়ে অঙ্কিতার? অঙ্কিতা কবে স্কুলের চাকরিতে যোগ দেন?মেয়ের চাকরি পাওয়া এবং কাজে যোগদানের মাঝের সময়টায় পরেশ কার কার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন? অঙ্কিতার বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল?সূত্রের খবর, এই সমস্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় পরেশ অধিকারীকে।
জিজ্ঞাসাবাদের পুরো প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফিও করা হয়। এদিনের জিজ্ঞাসাবাদের সময়, সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তব, DIG CBI অখিলেশ সিং-সহ CBI-এর অন্য আধিকারিকরাও নিজাম প্যালেসে পৌঁছন। সূত্রের খবর, পরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের পুরো তথ্য নেন CBI আধিকারিকরা।
এ দিকে, শুক্রবারই পরেশের মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ৪১ মাস ধরে পাওয়া বেতনের টাকাও দুটি কিস্তিতে ফিরিয়ে দিতে বলা হয়। এই রায় ঘোষণার পরেও অবশ্য মন্ত্রিকন্যাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের মতে, প্রকাশ্যে এসে ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল অঙ্কিতার।
বঞ্চিতদের অবিলম্বে নিয়োগের দাবি
সেই আবহেই বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগের দাবি তুলেছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, "যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা চাকরি পাক, এ ব্যাপারে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।" এই মুহূর্তে সরকারি সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা।