রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : ফের ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ মিলল। টেক সাপোর্টের (Tech Support) প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণার (Foreigners faces Fraud) অভিযোগে সল্টলেক (Saltlake) থেকে গ্রেফতার করা হল ১৩ জনকে। ভুয়ো কল সেন্টারে (Fake Call centre) হানা দিয়ে সংস্থার দুই ডিরেক্টর সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ (Bidhannagar Cyber Crime Police Station)। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। 


একাধিক ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ


দিনকয়েক আগেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছিল সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে। সল্টলেকে বসে সুদূর আমেরিকায় প্রতারণা ও ডলারে অর্থ হাতিয়ে হাওয়ালার মাধ্যমে ভারতে টাকা ট্রান্সফারের অভিযোগ উঠেছিল। যে তদন্তে নেমে ভুয়ো কলসেন্টারে হানা দিয়ে দুই কর্তা-সহ ২১ জনকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তাঁদের জেরা করেই আরও ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ মিলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।


পুলিশ সূত্রে খবর, ইপি ব্লকের গ্লোবসিন ক্রিস্টাল টাওয়ার বিল্ডিংয়ের ছ'তলায় একটি ভুয়ো কল সেন্টার খোলা হয়েছিল। পরাগ কুণ্ডু নামে ইকো পার্ক এলাকার এক বাসিন্দা ওই কলসেন্টার খুলেছিলেন। পুলিশ সূত্রে দাবি, ভুয়ো কল সেন্টার থেকে মার্কিন টেলিকম সংস্থার কর্মী পরিচয় দিয়ে আমেরিকার নাগরিকদের ফোন করত প্রতারকরা। একাধিক টেক সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে চলত প্রতারণা। ইন্টারনেটের স্পিড বাড়ানো (Increase Speed of Internet), ম্যালওয়্যার অ্যাটাক থেকে সুরক্ষা দেওয়া (Protection From Malware Attack), অ্যান্টিভাইরাস সাপোর্ট (Antivirus Support) সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত তাঁদের। সহায়তার নামে বিদেশি মুদ্রায় এক একজনের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করা হত। 


পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্রের আড়ালে রয়েছে হাওয়ালা যোগ। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ সূত্রে দাবি, প্রতারণার পর প্রথমে আমেরিকার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা হত। সেই জমা টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে দিল্লির এক ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছত। দিল্লির ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা আসত কলকাতার ব্যবসায়ী পরাগ কুণ্ডুর কাছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, পরাগের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে নগদ প্রায় ৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও ৪২টি কম্পিউটার, ২৩টি স্মার্ট ফোন, ২৬টি ডেবিট কার্ড, ৩টি হার্ড ডিস্ক, ১৬টি চেক বুক, ৪টি পাসবুক, ৪টি প্যান কার্ড, দুটি রাউটার সহ একাধিক প্রতারিত ব্যক্তির তথ্য উদ্ধার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। চক্রে আর কারা জড়িত, তার তদন্ত চলছিল। সেই তদন্ত থেকেই আরও এক ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ।


আরও পড়ুন- খবর সংগ্রহ থেকে আর্থিক লেনদেন, নিয়োগ দুর্নীতির জেরায় উঠে এল একাধিক এজেন্টের নাম