রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : আর্থিক অসঙ্গতির সুযোগ নিয়ে বড়সড় প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ। খোদ সল্টলেকে (Saltlake)। করোনার (Corona) ধাক্কায় ব্যবসায় মন্দা হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে টাকার খোঁজে থাকা ব্যক্তি হোক বা নেহাত কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা, সহজে লোন পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে প্রতারিত করা হয়েছে। অভিযোগ এমনই। সল্টলেকে রীতিমতো অফিস খুলে বসে চলছিল এই প্রতারণাচক্র। বুধবার সকালে ঋণগ্রহীতারা টাকা নিতে এসে দেখেন, অফিস তালাবন্ধ। প্রতারিত হয়েছে বুঝতে পেরে বিধাননগর উত্তর থানায় (Police Station) দায়ের হয়েছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। 


পুলিশ সূত্রে দাবি, সংস্থার তরফে ঋণের ব্যবস্থা করার জন্য প্রসেসিং ফি বাবদ ২০ হাজার টাকা,  লিগ্যাল ফি বাবদ ৫ হাজার টাকা ছাড়াও নানা অজুহাতে আরও কিছু টাকা নেওয়া হয়। বুধবারই ঋণ দেওয়া হবে অফিসে আসতে বলা হয় আবেদনকারীদের। কিন্তু এদিন আবেদনকারীরা এসে দেখেন অফিসের দরজায় তালা। এই চক্রে কারা জড়িত, তাদের আসল পরিচয় কী, এ সবই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। 


অভিযোগকারীদের দাবি, সল্টলেকের CE ব্লকের একটি বাড়ি ভাড়া করে চলছিল ওই সংস্থার অফিস। ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে এই সংস্থার তরফে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয় বলে জানান তারা। সেই বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ঋণের জন্য আবেদন করেন অনেকে। প্রতারিতরা জানিয়েছেন, প্রায় তিন চার মাস অফিস খুলে বসেছিল এই সংস্থা। অফিসে সবাই ছিলেন মহিলা কর্মী। এক মহিলা ও এক পুরুষ নিজেদের সিনিয়র হিসেবে পরিচয় দিয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁরা আদতে হায়দরাবাদের বাসিন্দা।


আবেদনকারীরা অফিস তালা বন্ধ দেখে বুঝতে পারেন তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। অভিযোগ দায়ের করা হয় বিধাননগর উত্তর থানায়। একে আর্থিক সমস্যা, তার মাঝে এহেন প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পড়ে টাকা খোয়ানো, দুইয়ে মিলে বেশ সমস্যায় অনেকেই।


আরও পড়ুন- অনলাইনে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রির নামে কয়েক লক্ষের প্রতারণা, বালিতে গ্রেফতার অভিযুক্ত