সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: আমহার্স্ট স্ট্রিটে শ্যুট আউটের ঘটনায় মৃত্যু হল ব্যবসায়ী দীপক ঘোষের। এদিন মাথায় ও ঘাড়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি লাগে তাঁর। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও পরে এসএসকেএম-এ ভর্তি করা হয়েছিল ওই ব্যবসায়ীকে। কিন্তু এদিন রাতেই তিনি মারা যান বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।


ঠিক কী ঘটে এদিন?


দুপুরে শহরের ব্যস্ত লোকালয়েই আচমকাই চলল গুলি। মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকায় এমন শ্যুটআউটের ঘটনায় আচম্বিত সকলেই। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল হয়ত, প্রোমোটিং বিবাদের জেরে হামলা। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ব্যবসা সংক্রান্ত গণ্ডগোলের জেরে এই ঘটনা। কেশবচন্দ্র সেন রোডের কাছে ঘটনাটি ঘটে। অফিসে ঢুকে গুলি চালানোর অভিযোগ দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।


আরও পড়ুন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে রাজ্যে ১ দিনে আক্রান্ত ২২ হাজার পার, মৃত্যু ২৩ জনের


পুলিশ সূত্রে খবর, টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে জনবহুল জায়গায় অফিসের মধ্যে ঢুকে গুলি চালান হয়। গোয়েন্দা বিভাগের তরফে অফিসাররাও আসেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, দীপক দাস পেশায় ছিলেন চিকেন সাপ্লাই ব্যবসায়ী। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর দুটি গুলি করা হয় তাঁকে। 


 


পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই রাকেশ দাস একজনকে চিহ্নিত করা গেছে। জানা গেছে, এই দোকানে একসঙ্গেই কাজ করতেন তিনিও। পরবর্তীতে টাকা পয়সা সংক্রান্ত সমস্যা হওয়ায় রাকেশকে কাজ থেকে বের করে দেন দীপক। এর আগেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাকেশ, এমনটাই জানা গেছে। এই ঘটনায় রাকেশ আরেক সঙ্গী ও আগেয়াস্ত নিয়ে দীপকের দোকানে ঢোকেন। পূর্ব পরিচিত বলে কোনও বাধার মুখে পড়তে হয়নি তাঁকে।


এই ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা, ডিসি নর্থ আসেন। পুলিশ সূত্রে খবর, টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে জনবহুল জায়গায় অফিসের মধ্যে ঢুকে গুলি চালান হয়। গোয়েন্দা বিভাগের তরফে অফিসাররাও আসেন।