জয়ন্ত পাল, কলকাতা: খাস কলকাতায় ধরা পড়ল ডাকাত। লেকটাউন (Lake Town) পাতিপুকুরের বিধানপল্লী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হল ৬ ডাকাতকে (Dacoits)। লেকটাউন থানার পুলিশের (Police) জালে ধরা পড়ল ওই ৬ জন। 


গতরাতের ঘটনা। পাতিপুকুরের বিধানপল্লীতে রাত্রে ৬ জন সশস্ত্র ডাকাত ধরা পড়ে। তারা সেখানে ডাকাতির উদ্দেশ্য নিয়েই জড়ো হয়েছিল বলে সন্দেহ। সেই সময় নিয়ম মাফিক লেকটাউন থানার পুলিশের টহলদারি চলছিল। ওই এলাকা দিয়ে গাড়ি সেই সময় যখন টহল দিচ্ছিল তখন ওই ৬ জনকে দেখে সন্দেহ হয়। এরপর তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনই পুলিশ জানতে পারে তারা মূলত ডাকাতির উদ্দেশ্যেই জড়ো হয়েছিল বিধানপল্লী এলাকার একটি বাড়িতে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতির সরঞ্জাম। তাদের আজ বিধাননগর আদালতে তোলা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে জানা যাচ্ছে।


দিন দুই আগেই, রাতের অন্ধকারে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। হরিপাল থানার ইলিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীপতিপুর গ্রামের ঘটনা। গত শনিবার রাতে সেখানের দুটি বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্য। প্রথমে তালা ভেঙে ঘরে ঢোকে ডাকাতেরা। এরপর গৃহস্থদের মারধর করেন বলেও অভিযোগ। তারপর তাঁদের বেঁধে রেখে লুঠপাঠ চালায় পাঁচ জনের ডাকাত দল। ঘটনায় প্রবল আতঙ্কিত হন এলাকাবাসী। 


আরও পড়ুন: International Women's Day: পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা সবচেয়ে বেশি অসুরক্ষিত, নারী দিবসে দাবি দিলীপ ঘোষের


পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১২টার পরেই পাঁচ জনের ডাকাতদল আচমকা হানা দেয় সঞ্জয় ঘোষের বাড়িতে। বাইরের গেটের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দরজা ভেঙে ফেলে দুস্কৃতীরা। এরপর তারা বাড়ির লোকজনকে মারধর করে এবং সকলকে বেঁধে রেখে চালায় লুঠপাট। প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। ডাকাতদের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র, অভিযোগ এমনটাই। প্রায় ১ ঘণ্টা লুঠপাট চালিয়ে রাত ১টা নাগাদ সঞ্জয় ঘোষের ভাই রঙ্গনের বাড়িতে ঢোকে ডাকাত দল। সেখানেও গ্রিলের  তালা ভেঙে, ঘরের দরজায় ধাক্কা দেওয়ার পর, লক ভেঙে তারা ভিতরে ঢুকে যায়। সেখানেও মারধর করে ভয় দেখিয়ে সবাইকে বেঁধে প্রায় ১ ঘণ্টা লুঠপাট চালিয়ে প্রায় ২টো নাগাদ চম্পট দেয় ডাকাত দল। আতঙ্ক কাটিয়ে প্রায় ৩টে নাগাদ প্রতিবেশীদের ফোন করার শক্তি পান পরিবারের সদস্যরা। সব শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাঁদের উদ্ধার করে। সকালে ঘটনাস্থলে আসেন হরিপাল থানার পুলিশ।