ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: কলকাতার SSKM হাসপাতালে ফের বিরল অস্ত্রোপচার। শিশুর চোখ এবং কপালের মাঝামাঝি অংশে বিঁধে ছিল কাঁচি। সেটিকে নিরাপদে বের করে আনতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলল জটিল অস্ত্রোপচার। শেষ পর্যন্ত নিরাপদেই বের করে আনা সম্ভব হয় বিঁধে থাকা কাঁচিটিকে। তাতে প্রাণরক্ষা হল এক বছর আট মাস বয়সি এক শিশুর।
শিশুর খুলি কেটে, চোখ এবং কপালের মাঝামাঝি অংশে বিঁধে থাকা কাঁচি বের করা হল
আগেও একাধিক বার আসাধ্যসাধন করেছে। আবারও বিরল অস্ত্রোপচার করে ফের একবার নজির গড়ল কলকাতার SSKM হাসপাতাল। সেখানে ১ বছর ৮ মাস বয়সি এক শিশুর খুলি কেটে, চোখ এবং কপালের মাঝামাঝি অংশে বিঁধে থাকা কাঁচি বের করলেন চিকিৎসকেরা। অত্যন্ত জটিল এই অস্ত্রোপচার সফল ভাবেই সম্পন্ন হল। আপাতত স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে শিশুটি।
হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের বাসিন্দা ওই শিশুটি। দুর্ঘটনাবশত তার চোখ ও কপালের মাঝের অংশে কাঁচি বিঁধে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে নিয়ে আসা হয় SSKM হাসপাতালে। সেখানে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। তাতেই সাফল্য পেয়েছেন চিকিৎসকরা। নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে শিশুটি।
আরও পড়ুন: Governor: 'অন্ধকার থাকলে আলো আছে' যাদবপুরে উপাচার্য না থাকা মন্তব্য আচার্য তথা রাজ্যপালের
এই অস্ত্রোপচার যাঁদের হাতে হয়, সেই চিকিৎসক দলে ছিলেন বাঙুর ইন্সটিটিউট অফ নিউরোলজির নিউরো বিভাগের প্রধান, এ ছাড়াও ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং অ্য়ানাস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ। অস্ত্রপচারের পর আপাতত স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে শিশুটি। তাকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে এত জটিল অস্ত্রোপচারের পর শিশুকে সুস্থ দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পরিবারের সদস্যরা।
জটিল ও বিরল অস্ত্রোপচার করে ফের নজির গড়ল কলকাতার SSKM হাসপাতাল
এর আগেও, এমন একাধিক বিরল এবং জটিল অস্ত্রোপচারে সফল হয়েছে SSKM হাসপাতাল। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন পুরুলিয়ার এক বাসিন্দা। শিকারে বেরিয়ে তাঁর গলায় অস্ত্র বিঁধে গিয়েছিল। পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার হাসপাতাল ঘুরে SSKM-এ এসে পৌঁছন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর সেটি বের করা সম্ভব হয়। গতবছর এক রোগীর গলায় বেঁধে ত্রিশূলও সফল ভাবে বের করতে সফল হন SSKM হাসপাতালের চিকিৎসকরা। যে কারণে কঠিন পরিস্থিতিতে বার বার কলকাতার এই হাসপাতালেই ছুটে আসেন রোগীর পরিবার-পরিজনরা।