ঝিলম করঞ্জাই, সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : মর্মান্তিক। মাত্র ১৯ বছরেই ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে ঝরে গেল তরতাজা এক প্রাণ ! দক্ষিণ কলকাতার দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার। স্কুলে প্রার্থনা চলাকালীন হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। সংজ্ঞাহীন বছর ১৯-র ওই ছাত্রীকে বেলভিউ হাসপাতালে (Belle Vue Clinic) নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। মর্মান্তিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে ওই ছাত্রীর পরিবার, সহপাঠীরা। পাশাপাশি এই মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন শঙ্কা। এত কম বয়সে এভাবে ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে (Massive Cardiac Arrest) মৃত্যুর ঘটনা হাসপাতালে উপস্থিত চিকিৎসকরা মনে করতে পারছেন না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ছাত্রীটিকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা তখনই তার কোনও পালস ছিল না। ছাত্রীর দেহে প্রাণ ফেরানোর জন্য সবরকম চেষ্টা চালানো হয়। সিপিআর (CPR) দেওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত রকমের প্রচেষ্টা চালানো হলেও ওই ছাত্রীর দেহে প্রাণ ফেরেনি। ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের জেরেই ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। যদিও এত কম বয়সের কারোর এভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃ্ত্যু ঘটনা মনে করতে পারছেন না চিকিৎসকরা। ময়নাতদন্ত হলে ঠিক কোন কারণে মৃত্যু তা পরিষ্কার হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্কুলে ছাত্রীটি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ার পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে কি কোনওভাবে দেরি হয়েছিল ? ছাত্রীর কি কোনও শারীরিক অসুস্থতা আগে থেকেই ছিল ? একাধিক প্রশ্ন অবশ্য উঠে আসছে। দক্ষিণ কলকাতার স্কুলটি যে এলাকায় সেখানকার কাউন্সিলরের বক্তব্য, ছাত্রীটির প্রেসারের সমস্যা ছিল। মাঝেমধ্যেই স্কুলের বাইরে এসে তার বাবা বসেও থাকতেন। স্থানীয় কাউন্সিলর ছাত্রীর অসুস্থতার কথা বললেও তা মানতে নারাজ মেয়েটির পরিবার। আত্মীয়রা মেয়েটির শারীরিক অসুস্থতার তথ্য ঠিক নয় বলেই দাবি করেছেন। পাশাপাশি তারা অপেক্ষা করছেন ময়নাতনদন্তের রিপোর্টের। যে রিপোর্ট দেখার পরই তাঁরা কোনওরকম অভিযোগ দায়ের করবেন কি না সেটা ঠিক করবেন বলেই জানিয়েছেন। কারণ, যাই হোক, মর্মান্তিকভাবে তরতাজা এক প্রাণের চলে যাওয়াতে শোকের ছায়া ।
আরও পড়ুন- ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ, পলাতক লিভ-ইন পার্টনার সেনা কর্তা