কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ২ মোবাইল ফোন ফরেন্সিকের জন্য কেন্দ্রীয় ল্যাবে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ায় অনুব্রত-র মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার পর বিকৃত করা হয়েছে কিনা, তার রিপোর্ট পাঠাতে হবে। আদালতকে (Court) ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট পাঠাবে সিএফএসএল। নিয়ম মেনে অনুব্রত মোবাইল সিজ করা হয়নি, দাবি অনুব্রতর আইনজীবীর। নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে ফরেন্সিক করানোর দাবি জানান, অনুব্রতর আইনজীবী। সায়গল হোসেনের জামিনের আবেদন খারিজ করল আদালত। সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ আদালতের।
অনুব্রত-র ফোন কেন্দ্রীয় ল্যাবে পাঠানোর নির্দেশ
প্রসঙ্গত, রাজ্যের একাধিক মামলায় নাম জড়ায় তৃণমূলের হেভিওয়েট অনুব্রত মণ্ডলের। প্রথমত গরুপাচার মামলা এবং দ্বিতীয়ত ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা। তবে গরুপাচার মামলায় তিনি গ্রেফতার হন। এদিকে অন্য মামলাগুলি এখনও চলছে। ইতিমধ্যেই অনুব্রত তো বটেই তো পাশাপাশি, অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তি এবং যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি এবার অনুব্রত-র ২ মোবাইল ফোন ফরেন্সিকের জন্য কেন্দ্রীয় ল্যাবে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। তবে এই মামলায় অন্যতম আরও এক অভিযুক্ত সায়গল হোসেন। অনুব্রত-র নিরাপত্তারক্ষীর থেকে একাধিক নয়া সূত্র খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর এবার সায়গল হোসেনের জামিনের আবেদন খারিজ করল আদালত।
একাধিক মামলায় নাম জড়ালেও সম্প্রতি একটি মামলায় বেকসুর খালাস অনুব্রত-র
সম্প্রতি মঙ্গলকোট মামলায় বেকসুর খালাস পান অনুব্রত মণ্ডল। তথ্যপ্রমাণের অভাবে খালাস তিনি। চার্জশিটে নাম থাকা অনুব্রত-সহ ১৪ জনই খালাস পান। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে মঙ্গলকোটে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ সহ একাধিক ধারায় মামলা হয় অনুব্রত মণ্ডল, কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে। বাম জমানার শেষলগ্নে, মঙ্গলকোটে অশান্তির ঘটনা ঘটে। এই মামলায়, অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি ও মঙ্গলকোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুব্রত মণ্ডল। কেতুগ্রামের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ তাঁর ভাই ও নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ-সহ মোট ১৫ জন। আগেই এক অভিযুক্তর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন, মিলেছে একাধিক সংযোগ! পার্থকে হেফাজতে চায় সিবিআই-ও, পিটিশন দায়ের আদালতে
' দিদি পাশে আছে, এটাই এনাফ ', বলেন অনুব্রত
অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। শেষ অবধি আদালতে পেশ করা হলে প্রমাণের অভাবে খালাস হয়ে যান অনুব্রত সহ ১৪ জন। এর জন্য আসানসোল জেল থেকে ৯ সেপ্টেম্বর বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে নিয়ে আসা হয় বিধাননগরে। সেবার আসানসোল জেল থেকে বেরোনোর সময় অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ' জেলে কেউ কন্টিনিউ থাকে না। জেল থেকে ছাড়া পায়। নিশ্চয় তিনিও ছাড়া পাবেন। ' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ' দিদি পাশে আছে, এটাই এনাফ। '