কলকাতা: বৃহস্পতিবার খড়্গপুরে 'উৎকর্ষ বাংলা'র (Utkarsh Bangla Scheme) অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে চাকরির শংসাপত্র তুলে দেওয়ার ঘোষণার পাশাপাশি বাংলায় (West Bengal) চাকরির বাজার ও বিস্তারের পরিকল্পনাও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । কাশফুল দিয়ে নয়া ব্যবসা শুরুর ভাবনা আগেও জানিয়েছিলেন তিনি, এদিনও সেই বিষয়টি উদ্যোগপতিদের উদ্দেশে জানান। পাশাপাশি বাংলায় কীভাবে কচুরিপানা দিয়ে ব্যাগ ও থালা তৈরি হচ্ছে। সেকথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
কী বলেছেন তিনি?
এদিন মমতা বলেন, "আজ গ্রামে গ্রামে অনেক কিছু হতে পারে। আমার মামার বাড়ি গ্রামে। সেখানে যখন যেতাম দেখতাম পাকের মধ্যে পড়ে থাকে ওই কচুরিপাতা যা দিয়ে মাদুরও তৈরি হয়। আপনারা কি জানেন কচুরিপানা দিয়ে এত সুন্দরভাবে সেটাকে শুকিয়ে ব্যাগ তৈরি করছে, খাবারের থালা তৈরি করছে। আগে শালপাতার থালাতে খাবার দিত। এখন এই নতুন থালাতে খাবার দিচ্ছে। ভাবতে পারেন? কচুরিপানা দিয়ে যে এত ভাল কাজ হতে পারে ভাবা যায় না।"
আরও পড়ুন, চা-বিস্কুট, ঘুগনি, তেলেভাজার ব্যবসা করুন: মুখ্যমন্ত্রী
একাধিক ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
- ‘দুর্গাপুজোয় ফোটা কাশফুলগুলোকে এককাট্টা করে, তুলো মিশিয়ে লেপ, বালিশ তৈরি হতে পারে’
- ‘চা-বিস্কুট, ঘুগনি, তেলেভাজার ব্যবসা করুন, পুজো আসছে, দিয়ে কুলোতে পারবেন না’
- ‘খেটে খেতে হবে, শরীরের নাম মহাশয়’
- ‘আগামীদিনে ৮৯ হাজার শিক্ষক নেওয়া হবে’
- ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সময়ে ১০ হাজার অধ্যাপক নেওয়া হয়েছে’
- ‘টাটায় আরও ১ হাজার লোকের চাকরি হবে’
- ‘পুজোর আগে সব জেলা মিলিয়ে ৩০ হাজার করে দেব’
কাশফুল-প্রসঙ্গ
এর আগে হাওড়ার এক বৈঠক থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাশফুল দিয়ে বালিশ, বালাপোশ করার কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, "আমার আরেকটা আইডিয়া আছে, এই যে কাশফুল হয় বাংলায়। পুজোর একমাস আগে থেকে দেখতে পাওয়া যায়। পুজোর একমাস পর উড়ে চলে যায়। এই কাশফুলকে যদি টেকনিক্যালি, কেমিক্যালি...কী দিতে হবে আমি জানি না, সেটা রিসার্চ করে দেখে আমরা বালিশ, বালাপোশ ওইগুলি তৈরি হতে পারে দারুণ ভালভাবে। যাঁদের আর্থিক ক্ষমতা আছে তারা কিন্তু এইগুলি কিনবেন। সুতরাং ওই কাশফুল কীভাবে ব্যবহার করা যায় সেটা দেখা উচিত। এটা আসে, চলে যায়। যেমন গাছের পাতা থেকে অনেক ওষুধ হয়,তেমন কাশফুল কিন্তু অনেক কাজে লাগবে।