কলকাতা: রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তেতে উঠছিল পরিস্থিতি (TET Agitation)। একদিকে আন্দোলনের ঝাঁঝ যেমন বাড়াচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। তেমনই জমনায়েত তুলতে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছিল পুলিশও (Police)। শেষমেশ মধ্যরাতে সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে আন্দোলনকারীদের তুলে দিল পুলিশ। আন্দোলনকারীদের জনাময়েত বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয় প্রথনে। তার পর সময় দেওয়া হয় দুই মিনিট। তাতে আন্দোলনকারীরা না সরাতে কার্যত টেনেই তুলে দেওয়া হল সকলকে (Kolkata News)।
করুণাময়ী থেকে আন্দোলন তুলে দিল পুলিশ
বৃহস্পতিবার রাতে সময় যত এগোচ্ছিল, ততই পুলিশের ভিড় বাড়ছিল করুণাময়ীতে। প্রিজন ভ্যানও এসে পৌঁছয় একে একে। এর পর মাইকিং শুরু করে পুলিশ। বলা হয়, আন্দোলনকারীদের জমায়েত। দুই মিনিট সময় দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে না উঠলে, উঠিয়ে দেওয়া হবে। সেই মতোই মধ্যরাতে তুলে দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের।
আন্দোলনকারীদের হাত ধরে টেনে তুলে দেয় পুলিশ। তাতে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। বেশ কয়েক জন চোট পান বলেও অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের তিনটি প্রিজন ভ্য়ানে তোলা হয়। অসুস্থ এক আন্দোলনকারীকে তোলা হয় অ্য়াম্বুল্যান্সে। প্রিজন ভ্য়ান থেকে এক আন্দোলনকারী বলেন, "এই সরকারকে আর একটিও ভোট নয়।"
এ নিয়ে প্রশ্ন করলে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, "বেআইনি জমায়েত ছিল। আটক করা হয়েছে।" কেন আন্দোলন তোলা হল, কার নির্দেশে তোলা হল, তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি ওই আধিকারিক। ডিসিপি যা জানানোর জানাবেন বলে জানান। তবে জানা যায়, আন্দোলনকারীদের আটক করা হয়েছে। বিধাননগর থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কয়েক জনকে নিউটাউন থানাতেও নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে, তাই সকলকে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ আধিকারিক।
আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হল আন্দোলনকারীদের একাংশকে
এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার পরিস্থিতি দেখা দেয়। রাত থেকেই আন্দোলনস্থলে পৌঁছন বিজেপি-র নেতা-নেত্রীরা। ছিলেন বিজেপি-র প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল, অগ্নিমিত্রা পালরা। তাঁরা আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেই রাতে আন্দোলন তুলে দেওয়া হল বলে দাবি করেন অগ্নিমিত্রা। শুক্রবার থেকে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস এবং বামেরাও আন্দোলনে নামার ঘোষণা করেছে রাতেই। তাই শুক্রবার থেকে পরিস্থিতি নতুন করে তেতে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।