জয়ন্ত পাল, দমদম : দক্ষিণ দমদমে (South Dumdum) মাইক বাজানোর প্রতিবাদ করায় তৃণমূল ছাত্রনেতাকে (TMC Leader) মারধরের অভিযোগ। প্রতিবাদে এলাকায় মিছিল করলেন তৃণমূল সমর্থকরা। পালটা মারের হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। দলীয় কোন্দলের জেরে মারধর বলে পাল্টা দাবি বিজেপির। 


ঠিক কী অভিযোগ


তারস্বরে মাইক বাজানোর প্রতিবাদ করায় তৃণমূল ছাত্রনেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মী এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ দমদমের কুণ্ডুবাগানে, গত কয়েকদিন ধরে, বিজেপি কর্মী সন্দীপ দত্তর সঙ্গীরা তাণ্ডব চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন এই সন্দীপ।


রবিবার গণেশপুজো (Ganesh Puja) উপলক্ষ্যে পিকনিক করছিলেন বিজেপি কর্মীরা। অনেক রাত পর্যন্ত বাজছিল মাইক। অভিযোগ, তার প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের ছাত্রনেতা দেবদীপ চক্রবর্তীকে মেরে মাথা, নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয়।


প্রতিবাদে তৃণমূলের মিছিল


আক্রান্ত টিএমসিপি (TMCP) নেতা দেবদীপ চক্রবর্তী বলেছেন, 'কিছুদিন ধরে দোকান ভাঙছিল, তাণ্ডব চালচ্ছিল এলাকায়, কাল রাতে মাইক বাজানোর প্রতিবাদ করায় মারধর'। তৃণমূল ছাত্রনেতাকে মারধরের প্রতিবাদে, সোমবার দক্ষিণ দমদমে মিছিল করেন তৃণমূল কর্মীরা। সেখান থেকেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর মুনমুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'এবার আর রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি শোনাবো না, পিঠে তালই পড়বে এবার।'


বিজেপির পাল্টা


মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে, বিজেপির পাল্টা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। উত্তর ২৪ পরগনার বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি গৌতম সাহা মন্ডল বলেছেন, 'এটা নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল, কাক কাকের মাংস খাচ্ছে এখন, মানুষ তৃণমূলের এই রাজনীতি বিশ্বাস করে না'। নাগেরবাজার থানায় ৫ বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত টিএমসিপি নেতা।  


আরও পড়ুন- 'ট্রেজারিতে টাকা আছে তো? রাতে ঘুমোতে পারি না, চিন্তা হয়,' রাজ্যের কোষাগার নিয়ে উদ্বেগ মুখ্যমন্ত্রীর


দিনকয়েক আগে রেলে চাকরির নামে ৫ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগে ডেবরায় তৃণমূল নেতাকে গাছে বেঁধে মারধর করেন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের সদস্যরা। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে। ৩ মাসে টাকা ফেরানোর প্রতিশ্রুতিও দেন অভিযুক্ত। পরে অভিযুক্তই অভিযোগ দায়ের করেন ২ জনের নামে। অভিযোগ অভিযোগ, ছেলে ও ভাইয়ের সরকারি চাকরির জন্য তিনি টাকা দিয়েছেন ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষকে। শুধু তাঁর কাছ থেকেই নয়, ওই কর্মাধ্যক্ষ চাকরির টোপ দিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন।