কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: ‘অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’ (Academy of Fine Arts) অধিগ্রহণ করুক রাজ্য সরকার। এই দাবিতে অনশনে বসেছেন তৃণমূল (TMC) প্রভাবিত কর্মী সংগঠন। রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ তুলেছে তারা। উল্টো দিকে, রাজ্য সরকারের থেকে সহযোগিতা মিলছে না বলে, অভিযোগ করেছে বোর্ড অফ ট্রাস্টি।
‘অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’-এর গায়েও রাজনীতির রং!
‘অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’, ঐতিহ্যের এই প্রতিষ্ঠানেও এবার লাগল ‘রাজনীতির ছোঁয়া’। দাবি উঠল রাজ্য সরকারের অধিগ্রহণের। লেডি রাণু মুখোপাধ্যায়ের সময় থেকে বিশেষ ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে ‘অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস।’ কিন্তু এখানকার তৃণমূল প্রভাবিত কর্মী সংগঠন দাবি তুলেছে, অবিলম্বে প্রতিষ্ঠানটি অধিগ্রহণ করুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার।
এই দাবিতে, দু’দিন ধরে প্রতিষ্ঠানের গেটে অনশন চালাচ্ছেন কর্মী সংগঠনের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার, আন্দোলনমঞ্চে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসুও। ছিলেন শিল্পীদের একাংশ।
অ্যাকাডেমির কর্মী সংগঠনের চেয়ারম্য়ান অসীমকুমার বসু বলেন, "সরকারকে অধিগ্রহণ করতে বলেছি। কারণ এখানে অনেক ছবি চুরি হয়ে গেছে, মিটিং হচ্ছে না, রক্ষণাবেক্ষণ নেই।" যদিও কর্মী সংগঠন পাল্টা বোর্ডকেই কাঠগড়ায় তুলেছে।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: ‘দিদিমণির নয়নের মণি, টাকা পয়সার খনি’, অনুব্রতর গ্রেফতারিতে কবিতা নামালেন অনুপম
অ্যাকাডেমির কর্মী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ দাস বলেন, "প্রতিবাদ করলে আমাদের চাকরি চলে যাচ্ছে, এটা সরকারকে অধিগ্রহণ করা উচিত, সংগ্রহশালা দীর্ঘদিন বন্ধ রেখেছে, গেট খোলে না, মঞ্চ ভেঙে পড়ছে।"
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের বোর্ড অফ ট্রাস্টি। উল্টে তাদের দাবি, রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্য মিলছে না। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের বোর্ড অফ ট্রাস্টি তথা চেয়ারম্যান প্রসূন মুখোপাধ্যা বলেন, "এটা অবান্তর কথা, ওরা এটা বলার কে? চারজন দাবি করলেই তো এটা হয়ে যাবে, সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছি...তার ফল মেলেনি।"
রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে না, অভিযোগ বোর্ড অফ ট্রাস্টির
১৯৫০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের তৎপরতায় ক্যাথিড্রাল রোডে পথচলা শুরু হয়েছিল, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের। ঐতিহ্যের এই প্রদর্শনশালা, বাঙালির সংস্কৃতির তীর্থক্ষেত্রেও এবার ঢুকে পড়ল রাজনীতি, তা নিয়ে ছড়াচ্ছে অসন্তোষ।