সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: কাঁকুলিয়া রোডে (Kankulia Road) কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি (Subir Chaki) ও তাঁর গাড়ি চালক রবীন মণ্ডল (Rabin Mondal) হত্যাকাণ্ডে চার্জশিট (Chargesheet) দিল পুলিশ (Police)। খুনের ৮৭ দিনের মাথায় আলিপুর আদালতে (Alipur Court) জমা পড়ল চার্জশিট। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ৬ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও খুন-সহ একাধিক ধারার উল্লেখ রয়েছে ৫০০ পাতার চার্জশিটে।


কাঁকুলিয়া রোড (Kankulia Road) জোড়া হত্যাকাণ্ডে চার্জশিট পেশ। ডাকাতি ও খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু। গত বছরের ১৭ অক্টোবর,  কাঁকুলিয়া রোডে নিজের বাড়িতেই খুন হন কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডল। জানা যায়, গড়িয়াহাট থানা এলাকার কাঁকুলিয়া রোডে পৈত্রিক বাড়ি ছাড়াও কলকাতা ও নিউটাউনের বিভিন্ন বিলাসবহুল আবাসনে একাধিক ফ্ল্যাট ছিল কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকীর। খড়গপুর আইআইটি ও জোকা আইআইএম থেকে পাস করা সুবীর ছিলেন নামী বেসরকারি সংস্থা কিলবার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। নিউটাউনের ফ্ল্যাটে থাকতেন স্ত্রী, মা ও শাশুড়িকে নিয়ে। ছেলে ব্রিটেনে কর্মরত, বিয়ের পর মেয়ে থাকেন বেঙ্গালুরুতে। 


তদন্তে নেমে ডায়মন্ড হারবার থেকে কর্পোরেট কর্তার বাড়ির পুরনো এক পরিচারিকা মিঠু হালদারকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মুম্বই থেকে মিঠুর ছেলে ভিকি হালদারকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও পুলিশের জালে ধরা পড়েন বাপী মণ্ডল, জাহির গাজি, সঞ্জয় মণ্ডল ও শুভঙ্কর মণ্ডল। খুনের ৮৭ দিনের মাথায় চার্জশিট দিল পুলিশ। সূত্রের খবর, ৫০০ পাতার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। চার্জশিটে রয়েছে মোট ৮০ জনের সাক্ষ্য। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, সম্মিলিত ভাবে অপরাধ সংগঠিত করা, ডাকাতি ও খুনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তরা সকলেই রয়েছেন জেল হেফাজতে। দ্রুত শুরু হবে এই মামলার শুনানি। 


আরও পড়ুন: Guwahati-Bikaner Express Accident: উত্তরবঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে? প্রাথমিক তদন্তে মিলল তথ্য