কলকাতা : রাত দখলে নেমেছিলেন বাংলার নারীরা। তারপর পরপর চলছে মিছিল। 'জাস্টিস'এর দাবিতে ক্রমেই চড়া হচ্ছে আন্দোলনের সুর। শুধু ডাক্তাররা নন, নির্যাতিতার সঠিক বিচার চেয়ে পথে নেমেছে আম আদমি। কিন্তু এই প্রতিবাদ কি সত্যিই কি সব মানুষের চিন্তাধারার পরিবর্তন ঘটাতে পারবে ? নিশ্চয়ই না। তার প্রমাণ মিলছে পথেঘাটে। এখনও নারী নির্যাতনের নানা অভিযোগ আসছে প্রতিদিনই। তবে মানুষ যে জেগে উঠেছে, সাধারণ মহিলারাও যে এখন সম্মতিলিত প্রতিবাদ করতে পিছ পা হচ্ছেন না, তার প্রমাণ মিলল হালফিলে। সম্প্রতি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে খাস কলকাতার একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, আর জি কর-এর নির্যাতিতাকে নিয়ে কুমন্তব্য করার জন্য মহিলা বাসযাত্রীরা রে-রে করে তেড়ে গেলেন এক পুরুষ যাত্রীর দিকে। একেবারে সবক শিখিয়ে ছাড়লেন। 






আরজি কর-কাণ্ডকে সমর্থন করে নাকি কুমন্তব্য করছিল এক বাসযাত্রী। এক - আধবার নয় টানা সে নির্যাতিতা চিকিৎসককে নিয়ে খারাপ কথা বলতেই থাকে। এই যুবকের এই আচরণে গর্জে ওঠেন বাসযাত্রীরা। বিশেষত মহিলা যাত্রীরা একেবারে চিৎকার করে ওঠেন। খাস কলকাতায় ঘটেছে ঘটনা। হইহই করে ওঠেন তাঁরা। আর এত  অভিযোগ যার বিরুদ্ধে , সে কেমন নির্বিকার হয়ে বসেই থাকে সিটে। এক সময় তো পাল্টা তর্কও জুড়ে দেয় সে। যাক থেকে বোঝা যায়, ভেবেচিন্তেই মন্তব্য করেছে সে। 


সেই ঘটনার একটি ভিডিও করতে শুরু করেন আরেক যাত্রী। সেই ভিডিওটিএ প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।  অভিযুক্ত  ব্যাগ দিয়ে মুখ লুকোনোর চেষ্টা করতে গেলে ব্যাগটি সরিয়ে দেন মহিলারাই । ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই মহিলা বাসযাত্রীদের প্রশংসা উপচে পড়েছে নেটমাধ্যমে। 


বাসযাত্রীদের  হইহল্লা দেখে সম্ভবত ট্রাফিক পুলিশ এগিয়ে আসে। বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে যায় ওই যাত্রীকে। সহযাত্রীদের অভিযোগ, বাসে ওঠার পর থেকেই ওই  ব্যক্তি নাকি আরজি করের ঘটনায় চিকিৎসকের উদ্দেশেই কটূক্তি করছিল।  ধর্ষণ এবং খুন নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করে সে। কেন নির্যাতিতা সরকারি টাকায়  মন্তব্য করে  ডাক্তারি পড়েছেন, তা নিয়েও নাকি প্রশ্ন তুলেছিল ওই ব্যক্তি।  রেয়াত করেননি কোনও মহিলাই। তবে বেশ কয়েকজন পুরুষযাত্রীকে চুপচাপ বসে থাকতেই দেখা যায়। 


আরও পড়ুন :


পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি, ৬ সেপ্টেম্বর অবধি জেল হোফাজত সঞ্জয়ের