হিন্দোল দে, কলকাতা: আনন্দপুরে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মহানন্দ মণ্ডল। নদিয়ার তেহট্ট থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ। বন্ধুর বাড়িতে নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত নাবালিকার বন্ধুর বাবা।


গত ২৮ জানুয়ারি নির্যাতনের শিকার বছর ১৪-র ওই কিশোরী বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিল। সেখানে বন্ধুর বাবার তার উপর যৌন নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা অনুযায়ী, নিজের মেয়েকে দোকানে পাঠিয়ে নাবালিকার উপর অত্যাচার চালান অভিযুক্ত।  এমনকি নাবালিকাকে বাবা মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে ধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ।


ওই দিন রাতেই নির্যাতনের শিকার ওই নাবালিকাকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে খবর পৌঁছয় পুলিশের কাছে। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু ঘটনার পরই গা ঢাকা দেোয়ায় এত দিন অভিযুক্তের নাগাল পায়নি পুলিশ। ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্ত গা ঢাকা দেয়। শেষমেশ রবিবার নদিয়ার তেহট্ট থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। তাঁর কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন।


আরও পড়ুন: Bishnupur News: নতুন জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টার, পদত্যাগের দাবি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ বিজেপি-র


এর আগে, সম্প্রতি মূক ও বধির তরুণীকে চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হন আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা এক যুবক। গত বৃহস্পতিবার রাতে কাজ থেকে ফেরার পথে ওই তরুণীকে জোর কের গাড়িতে তুলে অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ।  তরুণীর বয়ান পেয়ে তড়িঘড়ি ধৃতকে গ্রেফতার করে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। টি আই প্যারেডে অভিযুক্তকে শনাক্ত করেন নির্যাতিতা তরুণী।


এই ঘটনায় চটজলদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করায় প্রশংসিত হয় প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। এ ক্ষেত্রে মূক ও বধির নির্যাতিতার অভিযোগ বুঝতে সাঙ্কেটিত ভাষা বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেয় তারা।  ঘটনার পর দিন সকালেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তোলা হয় আদালতে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।