কলকাতা: ডিএ আন্দোলনের (DA Movement) মঞ্চে দাঁড়িয়ে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ কৌস্তভ বাগচীর (Koustav Bagchi)। কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবির হুঙ্কার, 'সরকারি কর্মচারীদের ডিএ আটকানোর ক্ষমতা কারোর নেই। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এদের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কথা বলছেন। দিনের পর দিন আপনার নেতাদের ঘুষ খাওয়া নিয়ে তো একটা কথাও বলছেন না। আপনার নেতারা যে মানুষকে লুটেপুটে টাকা খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে গেছেন।'


নাম না করে আক্রমণ


এরপরেই নাম না করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) আক্রমণ করেন কৌস্তভ। তাঁর দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banejee) যদি তাঁর দলের নেতাদের দুর্নীতি দমন করতে পারেন, তাহলেই কর্মচারীরা বকেয়া ডিএ পেয়ে যাবেন। জেলে এক মন্ত্রী আছেন, তিনি নাকি এত খেয়েছেন, যে ওঠাপড়াতেও অসুবিধা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যদি এই চোর মন্ত্রীগুলোর খাওয়া একটু কমাতে পারেন। তাহলে আমরা কেন্দ্রীয় হারের থেকে বেশি ডিএ দিতে পারব।' ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যকে নিশানা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর।


কংগ্রেস নেতা মনে করিয়ে দেন একসময় বিরোধী পক্ষে থাকাকালীন খোদ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীই সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া র পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু নিজে দায়িত্ব নিয়ে সেই একই জিনিস ঘটাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি কৌস্তভের। 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই একসময় ডিএ-র পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী একসময় বলেছিলেন, যে সরকার ডিএ দিতে পারে না, তার থাকার দরকার নেই।' বলেন তিনি।


ক্ষমতায় থাকতে হলে ডিএ


এরপরেই কংগ্রেস নেতার হুঙ্কার, মতায় থাকতে হলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতেই হবে। তাঁর দাবি জণগনদরদি সরকার এলে তাঁরা অবশ্যই ডিএ দেবেন। 'মুখ্যমন্ত্রী এই চেয়ার থেকে নেমে যান। মানুষের কথা ভাবেন, এমন সরকার এলে দেখবেন ডিএ দিতে কোনও বাধা নেই। ডিএ দিতে পারছেন না, অথচ খেলা-মেলা-উৎসব করার টাকা আছে!' 


কৌস্তভের ক্ষমা


ব্যক্তিগত আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টার যুদ্ধর পর গতকালই ব্যাঙ্কশাল আদালত জামিন দিয়েছে কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী।  তবে জামিন পেয়েও থামতে নারাজ কৌস্তভ। তাঁর সাফ কথা, 'থেমে থাকার প্রশ্ন নেই, আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে।' তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে কোনও অসুবিধা নেই কৌস্তভের। শর্ত একটাই, কী সেই শর্ত? কৌস্তভের দাবি, 'মুখ্যমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর কাছে দুঃখপ্রকাশ করলে, পা ধরে ক্ষমা চাইব।' জামিন পাওয়ার পরদিন সকালেও হুঙ্কার কংগ্রেস নেতার। 


আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের হেনস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ, প্রেসিডেন্সির ৪ TMCP নেতার 'শাস্তি