কলকাতা: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর (Koustav Bagchi) জামিনের শুনানি ব্যাঙ্কশাল আদালতে (Bankshall Court)। এই মুহূর্তে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আদালতে সওয়াল। সেই নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে হই-হট্টগোল। তার জেরে এজলাস ছেড়েই বেরিয়ে গেলেন বিচারক (Kolkata News)।
এজলাস ছেড়েই বেরিয়ে গেলেন বিচারক
শনিবার বাঙ্কশাল আদালতে কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতারি মামলার শুনানি চলছিল। সেখানে কৌস্তভের হয়ে সওয়াল করছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সেখানে কৌস্তভকে গ্রেফতারির প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন, "মাঝরাতে আইনজীবীকে তুলে আনার অধিকার পুলিশকে কে দিয়েছে? সে কি কোনও সন্ত্রাসমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত?"
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে লেখা বই কংগ্রেস বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। সাংবাদিক বৈঠকে সেই বইয়ের প্রতিলিপি তুলে ধরতে দেখা গিয়েছিল কৌস্তভকে। সেই প্রসঙ্গে বিকাশবাবু বলেন, "কৌস্তভ বলেছেন, একটি বই বাজারে আছে। যে বইয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অতীত ও বর্তমান সম্পর্কে বলা আছে। সেই বই এখনও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, সরকার তো নিষিদ্ধ করেনি!"
যে প্রক্রিয়ায় কৌস্তভকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিকাশবাবু। বলেন, "কেন ৪১ ধারায় নোটিস করল না পুলিশ? কেন মাঝরাতে পুলিশ বাড়িতে ঢুকল?এরপর তো কোনও বিচারকের বাড়িতেও পুলিশ ঢুকে যাবে! কোথায় যাচ্ছে আইন ব্যবস্থা? রাত ৩টেয় বাড়িতে পুলিশ চলে এল! এত রাতে কারও বাড়িতে পুলিশ যাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা আছে।"
পুলিশ ১০ মার্চ পর্যন্ত কৌস্তভকে হেফাজতে চেয়েছে মোটিভ খুঁজে বের করার জন্য। ওসি, আইও-কে শোকজ করার দাবি তোলেন বিকাশবাবু। যে কোনও শর্তে কৌস্তভকে জামিন দেওয়ার দাবি তোলেন। অন্য দিকে, সরকারি আইনজীবী বলেন, "আইনজীবীরা বলছেন, আমরা আতঙ্কিত, উকিল সমাজ আজ আতঙ্কিত। বৈদ্যুতিন মাধ্যমে কারও সম্পর্কে বাজে ধারণা ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন।"
যে কোনও শর্তে কৌস্তভকে জামিন দেওয়ার দাবি
এর জবাবে বিকাশরঞ্জন বলেন, "১০টা নাগাদ বক্তব্য সমাজমাধ্যমে পাওয়া গেল, আর রাত ৩টেয় পুলিশ বাড়িতে গেল? ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হোক, না হলে আমরা কোর্টরুম থেকে নড়ব না।" অন্য দিকে, কৌস্তভের হয়ে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, "হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়ির বাইরে পোস্টারকাণ্ডে এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। আর রাত তিনটের সময়ে বাড়িতে গিয়ে এক উকিলকে তুলে আনছে?" এখনই অর্ডার দিতে হবে, তা পর কোর্টে এই মামলা উঠবে বলেও দাবি তোলেন আইনজীবীরা। তা নিয়ে হই-হট্টগোল শুরু হলে, এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারক।