গৌতম মণ্ডল, কুলপি: ঘন কুয়াশার জেরে কুলপিতে হুগলি নদীর (Hooghly River) চরে ধাক্কা বাংলাদেশি বার্জের। কুলপির নিশ্চিন্তিপুরে হুগলি নদীতে ডুবতে বসেছে বাংলাদেশি বার্জ। বাংলাদেশের ৯ নাবিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। খিদিরপুর থেকে ফ্লাই অ্যাশ নিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছিল বার্জটি।
চরে ধাক্কা বাংলাদেশি বার্জের: এমভি রাফসান হাবিব থ্রি নামের ওই বার্জটি কলকাতার খিদিরপুর থেকে ছাই বোঝাই করে বাংলাদেশে যাচ্ছিল। ভোর রাতে ঘন কুয়াশার জেরে নদীর চরে ধাক্কা মারে বার্জটি। ধাক্কার জেরে বার্জের পাটাতন ফুটো হয়ে যায় বলে অনুমান। এরপর ডুবতে থাকে বার্জটি। এলাকার মানুষ বুঝতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কুলপির ওসি ও বিডিও। খবর দেওয়া হয়েছে সিভিল ডিফেন্সকে। ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ ডুবে গিয়েছে বার্জটি।
শীতের ইনিংস শেষ। দখিনা বাতাস জানান দিচ্ছে, বসন্ত এসে গেছে। জলীয় বাষ্প ঢোকায় ভোরের দিকে কলকাতা-সহ কয়েকটি জেলায় হালকা কুয়াশা থাকলেও, বেলা গড়াতেই চড়া রোদে অস্বস্তি বাড়ছে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি - উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেই আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। দু’- এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। পাশাপাশি, দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ওপরেই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
গত মাসে মুড়িগঙ্গার চরে আটকে যায় বার্জ। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় গঙ্গাসাগর থেকে ফেরা পুণ্যার্থীদের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসা দমকলমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন পুণ্যার্থীদের একাংশ। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ, কচুবেড়িয়া থেকে লট এইটে যাওয়ার জন্য ছাড়া হয় এই বার্জটি। কিন্তু শুরুতেই পুণ্যার্থী বোঝাই বার্জটিতে ত্রুটি দেখা যায়। নদীর চরে আটকে যায় বার্জের অংশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। সেইসময় তাঁকে দেখে বার্জের ওপর থেকে ক্ষোভ দেখাতে থাকেন পুণ্যার্থীদের একাংশ। এইভাবে প্রায় তিন ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর, বার্জ থেকে বেশ কিছু পুণ্যার্থীদের নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এর কিছুক্ষণ পর সচল হয়ে ওঠে বার্জটি।
আরও পড়ুন: Vaccine: রুবেলা টিকাকরণের সময়সীমা বাড়াল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর